বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বেগম খালেদা জিয়া গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করেই বেগম জিয়া ভিশন -২০৩০ ঘোষণা করেছেন বলেও তিনি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যোগ্য ব্যক্তির আদর্শ গ্রহণ এবং অনুসরণ ও অনুকরণ করা ভাল লক্ষণ। এ জন্য বেগম জিয়াকে ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৬ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও ৪ দিনব্যাপি সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চিত্রশালা প্লাজার মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও গ্যালারি-২ এ সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘বিশ্ব শান্তির দর্শন, জনগণের ক্ষমতায়ন’ এর আলোকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অর্জন ও সাফল্যের বিশেষ সংবাদচিত্র প্রদর্শনী। এতে প্রায় ৫শ’ সংবাদচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৯ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। আরো বক্তৃতা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চেীধুরী স¤্রাট, ঢাকা উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বেগম জিয়ার ভিশন ২০৩০ ঘোষণার আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। কারণ ২০০১ সালে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, খুন ও ধর্ষণ চালিয়েছিল, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন বানচালের জন্য ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল ও মানুষ হত্যা করেছিল এবং ২০১৫ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে টানা অবরোধের নামে যেভাবে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষ ও পুলিশকে পুড়িয়ে হত্যা ও যানবাহনের ক্ষতি সাধন করেছিল, সে জন্য জাতির কাছে ভিশন ২০৩০ নিয়ে যাওয়ার আগে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ মেয়াদে ১৩ বছর ৪ মাস রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তার ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে তিনি ও আরো কয়েক নেতা সেদিন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন বলেই আজ মনে করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে আজ দেশের এতো উন্নয়ন হতো না এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হতো না। এমনকি পার্বত্য শান্ত চুক্তি এবং গঙ্গা পানি চুক্তিও হতো না। তাই তার প্রত্যাবর্তনে দেশের ও দেশের জনগণের কল্যাণই হয়েছে। শেখ হাসিনার এ শাসনামলেই তিস্তা চুক্তিও বাস্তবায়ন হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।