২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রশিদনগর ও জোয়ারিয়ানালায় বেড়িবাঁধ না থাকায় সহশ্রাধিক একর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না

Ramu News pic 8.3.15
রামু উপজেলার উপকুলিয় এলাকা রশিদনগর ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সহশ্রাধিক একর কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে থাকায় প্রতি সুষ্ক মৌসুমে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এলাকার সাধারন কৃষকরা। ওই এলাকা গুলোতে বেড়ি বাঁধ নির্মিত হলে উপকৃত হবে হাজার হাজার কৃষক। গত শনিবার (৭মার্চ) বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প কক্সবাজার জোনের সহকারী প্রকৌশলী ডালিম কুমার মজুমদারকে সাথে নিয়ে উপজেলার উপকুলিয় এলাকা সমুহ পরিদর্শন করেছেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম।
পরিদর্শন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, দীর্ঘ বছর ধরে রামু উপজেলার অবহেলিত অঞ্চলের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামুর সচেতন ভোটাররা স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের কথায় এলাকার উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে, আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করেছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলার প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করে চেয়ারম্যানের মেয়াদকালের মধ্যে এমপি সাহেবের সহযোগীতায় তাহা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। উপকুলিয় এলাকা হিসেবে রশিদনগর ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অনাবাদি জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনতে শিঘ্রই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
এ সময় রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, বিএডিসি কক্সবাজার জোনের গুদাম রক্ষক ও মাঠ পর্যবেক্ষক অমুল্য বড়–য়া, রশিদ নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজল আহমদ বাবুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন কালে রশিদ নগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়ার বাসিন্দা শহর আলম ও মোঃ শহীদুল হক জানান, ধলিরছড়া খালের জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় প্রতি সুষ্ক মৌসুমে ওই এলাকার প্রায় চারশত একর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। খালের পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আসবে। উল্টাখালী এলাকার বাসিন্দা কৃষক মানিক জানান, অনেক বছর আগে এ খালের পাড়ে বেড়িবাঁধ নিমার্ণ হলেও ওই বেড়িবাঁধ এখন স্মৃতিকথা। বেড়িবাঁধটির কিছু কিছু অংশ দেখা গেলেও অনেকাংশ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায়  উল্টাখালী এলাকার প্রায় তিন শতাধিক একর কৃষিজমি অনাবাদি থেকে যায়। অতছ বেড়িবাঁধটি পুনঃনির্মিত হলে এজমি গুলো চাষাবাদের আওতায় আসবে। অপরদিকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের আসকরখিল ও নুনাছড়ি এলাকায় প্রতি নিয়তই প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। এনদীতে কষ্মিনকালেও বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। সামান্য দুই থেকে তিন কিলোমিটার বেড়ি বাঁেধর অভাবে প্রতি বছরই অনাবাদি থেকে যায় এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশত একর জমি। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ বক্ত বাবুল ও সাবেক এমইউপি আব্দুল মালেক আসকরখিল ও নুনাছড়ি এলাকায় বেড়িবাঁধের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প কক্সবাজার জোনের সহকারী প্রকৌশলী ডালিম কুমার মজুমদার বলেন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা ওই এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় সাংসদের পরামর্শক্রমে ওই এলাকার নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণে শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।