বিশেষ প্রতিবেদক:
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি)’র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্মানেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিটি ‘আইপিএইচআরসি’র চেয়ারপার্সন ড. রশিদ আল বালুসি বলেছেন, দুই দিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা ঘুরে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের স্বীকারোক্তিতে যা জেনেছি, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পাশবিকতা চরম পর্যায়ে পৌছেছিল। গণহত্যা ও ধর্ষণসহ নানা বর্বরতায় তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। এসব নির্যাতন আয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়। অমানবিক নির্যাতনের তথ্যমালা আমরা ওধাইসি’র কমিটির কাছে প্রতিবেদন আকারে পেশ করবো।
শুক্রবার কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুরে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা করেন। এসময় তাঁর সাথে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ওআইসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেড এসকে ক্যাগওয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ড. রাইহানাহ বিনতে আবদুল্লাহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জমির, আবদুল ওহাব, মাহমুদ মোস্তাফা আফিফি, এডামা নানা, নির্বাহী পরিচালক মার্গোব সেলিম বাট, হাফিদ এল হাসমি, আকমেদ আল গামদি, হাসান আবেদিন, মাহা আকিল, আবদুল্লাহ কাবি ও মোহাম্মদ গালাবাসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে দু’দিনের সফলে প্রতিনিধিদলটি বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমান যোগে কক্সবাজার পৌঁছেন। কক্সবাজার পৌছে প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ওআইসি প্রতিনিধি দলের কাছে উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। সব শুনে ওআইসির প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি দেন।
সভাশেষে বিকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে যান তাঁরা এবং নিপীড়িত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেন। শুক্রবার সকালে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে ব্রিফিং দেয় প্রতিনিধিদল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।