বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়ানালা এলাকায় একটি মিনিবাসের সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় সংগঠিত দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দু’জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে অপরজন মারা যায়।
দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের সদরের ঈদগাঁও’র হাসিনা পাহাড় এলাকার ব্যবসায়ী ধলুর ছেলে ও কলেজ ছাত্র শফিকুল ইসলাম (২০),পোকখালী পুর্ব ইছাখালী কোনাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে কলেজ ছাত্র মহিউদ্দীন মহি (১৭), জালালাবাদ পালাকাটা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে দোকান কর্মচারী মুহাম্মদ হাসান (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার মুখী মোটরসাইকেলটি (কক্সবাজার-ল-১১-১৯৫০) তিনজন আরোহী নিয়ে মহাসড়কের রশিদনগর জেটিরাস্তার মাথা এলাকায় টহল পুলিশের একটি টীম তাদের থামার নির্দেশ দেয়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তারা গতি বাড়িয়ে চলে যায়। সে গতিতে জোয়ারিয়ানালার আদর্শগ্রাম (গুচ্ছগ্রাম) মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ঈদগাঁও লাইন মিনিবাসের একটি গাড়ি (কক্সবাজার-ছ-১১-০১২০) সাথে মটর সাইকেলটির মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী শফিক ও হাসান মারা যান। অপর আরোহী মহিউদ্দিনকে গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রামু হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে মহিউদ্দিন মারা যান।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে রামু হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। প্রশাসনিক অনুমতি সাপেক্ষে তিনটি মরদেহ-ই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিআরটিএ কক্সবাজার অফিসের মটরযান পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, ঈদগাঁও লাইন মিনিবাসের কক্সবাজার-ছ-১১-০১২০ নম্বর বাসটি বখতিয়ার কামাল চৌধুরীর নামে নিবন্ধন করা। কিন্তু এর ফিটনেসসহ অন্যান্য কোন সার্টিফিকেট কোনটাই আপডেট নেই। আর কক্সবাজার-ল-১১-১৯৫০ নম্বর ধারী মটর সাইকেলটি সদরের জালালাবাদ ফরাজিপাড়ার জয়নাল আবেদীনের নামে নিবন্ধন করা। দূর্ঘটনার খবরের পর খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটি তৃতীয় হাত বদল হয়ে আনাড়ি চালাক শফিকের হাতে গেছে মাস তিনেক আগে। তবে নিবন্ধন মালিকানা পরিবর্তন করা হয়নি। কক্সবাজারে চলমান বাস-মিনিবাস ও মটর সাইকেলের ফিটনেস ও অন্যান্য বিষয়ে শীঘ্রই সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বিকেলে তিন মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে পৌছালে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার আগে তাদের দাফনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।