রামুতে তামাক পাতা প্রক্রিয়া জাতকরণের জন্য আগাম জ্বালানি মজুদ করার লক্ষ্যে অবাধে কাটা হচ্ছে মহাসড়ক পথের ধারে দাড়িয়ে থাকা ছায়া বৃক্ষ রাজি। তামাক চাষে ভরে গেছে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার এগারটি ইউনিয়নের ধান চাষের ও বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত জমিগুলোতে। প্রকাশ্যে দিবালোকে সড়কের ছায়া গাছ-পালা কাটা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। জানাগেছে,এভাবে সড়ক ও পথের ধারে গাছ গুলো কাটার ফলে পরিবেশের দ্রুত বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের আরকান সড়কসহ রামু থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দূরে গর্জনিয়া,কচ্চপিয়া ইউনিয়ন সড়ক গুলো এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত সেইসব সড়ক ও পথের ছায়া বৃক্ষ রাজি কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে।টাকার জন্য বাগান বাড়ির শত শত বছরের পুরানো ফলজ গাছ কেটে বিক্রি করেছে গ্রামের সাধারণ মানুষেরা। স্থানীয়দের মতে, কতিপয় লোক তামাক কোম্পানীর প্ররোচনা এবং অর্থের প্রলোভনে চাষীদের মাধ্যমে এসব ছায়া বৃক্ষ ও ফলজ গাছ কর্তন করাচ্ছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ফলজ গাছ কর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে রামুর সচেতন মহল বলেন, সড়কের ছায়া বৃক্ষ রাজি ঘর বাড়ির বাগানে ফলজ গাছ গুলো এভাবে উজাড় করা হলে ঋতুর পরিবর্তনে সাভাবিকতা হারিয়ে গ্রীষ্ম ও বর্ষা কালে চরম সমস্যায় পড়তে হবে।দেখাগেছে সড়কের পাশে এসব বৃক্ষের কারণে গাড়ি চলাচল জন সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ থাকে। কারণ গাছ আমাদের কে অক্্িরজেন দিয়ে সাহায্য করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন,বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে সড়কগুলোর ছায়া বৃক্ষ হিসেবেই সড়কে উভয় পাশে কয়েক হাজার গাছের চারা ৮/১০বছর আগে সৃজন করা হয়েছিল মধ্যে মধ্যে প্রায় শতবছর আগের ফলজ গাছও রয়েছে।এব্যপারে রামু রাজারকুল বিটকর্মকর্তা তুহিদুর রহমান টগর জানান,রাস্তার পাশে হোক বা বাগান বাড়িতে হোক যতা সময়ে আমাদের কে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন ।আমরা তাদেরকে ধরে গাছসহ জব্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।