রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালায় ৭ বছরের কন্যা শিশু, প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আকতার সামু কে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকান্ডের সুষ্ঠুতদন্ত করে দোষিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকাল চারটায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নেন শত শত জনতা। মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, কন্যা শিশু, স্কুল ছাত্রী জেসমিন আকতার সামু কে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী বিষ্মিত ও মর্মাহত। এ ঘটনার দোষিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ হত্যাকান্ড নিয়ে যেন কেউ রাজনীতি বা স্বজনপ্রীতির আশ্রয় না নেন। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকেও সজাগ ভুমিকা রেখে শিশু হত্যার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, জেসমিন আক্তার সামু’র হত্যাকান্ডকে নিছক মৃত্যু বলে প্রচারনা চালিয়ে বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই। কারন হত্যাকান্ডের পর জনতা ও পুলিশের কাছে প্রমান হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারন জেসমিন আকতারের মৃতদেহ সোনাইছড়ি খালে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের ১০০ গজ দূরে খালের পাড়ে রক্তমাখা একটি কালো প্লাষ্টিক উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ওই প্লাষ্টিকে মুড়িয়ে খালের পাড়ে নিয়ে যায় এবং প্লাষ্টিক খুলে শিশুটির মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এছাড়া উদ্ধার হওয়া শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
মানবন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও আওয়ামীলীগ নেতা আবছার কামাল সিকদার, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন সিকদার, ইউপি সদস্য আবদুল করিম, হত্যাকান্ডের শিকার শিশু জেসমিন আকতার সামুর বাবা সিরাজুল ইসলাম, মীর কাসেম, কবির বলী, মোস্তফা কামাল, মোস্তাক আহমদ, নাজমুল হুদা মানিক, এনামুল হক প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন, নিশাত মেডিকোর স্বত্তাধিকারি সোহেল সাঈদ। মানববন্ধনের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাদরাসা গেইট ও জোয়ারিয়ানালা বাজার প্রদক্ষিন করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।