টি আই সোহেলঃ
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ার দিঘিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে।
নামঃ মৌলভী আব্দুস সোবহান,
পিতাঃ মোহাম্মদ খলিল,
বয়সঃ ১২৯ বছর,
পাড়াঃ মন্ডল পাড়া, পূর্ব দারিয়ার দিঘি,
গ্রামঃ দারিয়ার দিঘি,
ওয়ার্ডঃ ১নং ওয়ার্ড,
পোষ্ট অফিসঃ রাবেতা,
ইউনিয়নঃ খুনিয়াপালং,
থানাঃ রামু,
জেলাঃ কক্সবাজার।
মৌলভী আব্দুস সোবহানের সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
তার প্রথম স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, ভাগ্যক্রমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা গেলে তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন দারিয়ার দিঘি মন্ডলপাড়ার মরহুম নজির আহমদের বড় মেয়ে (প্রকাশ সোনাই বরো) সোনাইকে।
উল্লেখ্য যে, সোনাইকে বিয়ের সময় বয়সে তিনি তার শাশুরের চেয়ে অনেক বছরের বড় ছিলেন।
তৃতীয় স্ত্রীও বৃদ্ধ হয়ে মারা গেলে তিনি আর বিয়ে না করে বর্তমানে সন্তানদের সাথে জীবনযাপন করছেন।
তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিজের চোখে দেখেন!
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধতো তার কাছে মাত্র সেদিনের কথা।
তিনি এখনো শারিরীক ও মানসিকভাবে প্রায় সুস্থ!
তিনি এখনো পায়ে হেঁটে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে রামু বাজার ও ৫-৬ কিলোমিটার দূরে মরিচ্যা বাজারের আনাচে কানাচে ঘুরেন পায়ে হেঁটেই। এই পায়ে হাঁটার কারণেই হয়তো তিনি এখনো এতোটাই ফিট।
রাস্তায় কেউ তাকে গাড়িতে তুলতে চাইলেও তিনি খুবই মার্জিত ভাষায় তা নাকচ করে দিয়ে নিজ উদ্যমে হেঁটেহেঁটে জীবনযাপন করছেন।
এ বয়সেও তার কোন অসুখ নেই!
তবে দৃষ্টি শক্তি হালকা কমেছে যার কারণে তিনি পবিত্র কোরআন মাজীদ আগের মতো দেখে পড়তে পারেন না।
এলাকার একভাই তার চোখের চিকিৎসা নিজ অর্থায়নে করতে চাইলেও তিনি ভয়ে করতে চান না।
প্রতিবেশী ও এলাকার মুরব্বিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন তিনি কখনো নামাজ রোজা ছাড়েন না।
ওনাকে দাদা দাদা বলে মিষ্টি সূরে ডেকে ছবি তুললে চাইলেও তাকে ধরে রাখা যায়নি!
বর্তমানে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন!
পাচ্ছেন না সরকারের কোন যোগ্য সম্মাননা।
খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদের মাধ্যমে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মৌলভী আব্দুস সোবহানের মতো প্রাচীন ঐতিহাসিক মানুষের যথাযথ সরকারি সম্মাননা দাবি তার পরিবার ও দারিয়ার দিঘির সর্বস্তরের জনসাধারণের।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।