প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি জনপদ ডাকভাঙ্গা ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মৈষকুম গ্রামে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ। পাশাপাশি পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সংগঠনটির উদ্যোগে এ দুটি গ্রামের শতাধিক দরিদ্র পরিবারকে দেয়া হয়েছে গরুর মাংস।
ঈদুল আযহার দিন (২১ জুলাই) দুটি গ্রামে জবাই করার পর দুটি গরুর মাংস বিতরণ করা হয়। এ প্রথমবার কোরবানীর মাংস পেয়ে উল্লসিত হয়েছেন এ দুটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।
মাংস বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন-কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ জুয়েল তালুকদার, দৈনিক কক্সবাজার এর স্টাফ রিপোর্টার সোয়েব সাঈদ, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিম উল্লাহ, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমূখ।
ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ জুয়েল তালুকদার জানিয়েছেন-রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা মইশকুম এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা ডাকভাঙ্গা গ্রামে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ নামে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত দুটি বেরসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। এরফলে ওই গ্রাম দুটিতে অসহায় শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশে নিয়মিত ক্রীড়া-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন করা হয়। এবার প্রথম বারের মতো বিদ্যালয়ের এতিম, দরিদ্র-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ১০০ পরিবারকে কোরবানীর মাংস বিতরণ করা হয়েছে। যা আগামীতে দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বলেন- ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এমনিতেই দূর্গম এ গ্রাম দুটিকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে আসছে। পাশাপাশি কোরবানীর মাংস দিয়ে গ্রামবাসীদের ঈদের আনন্দেও পূর্ণতা এনে দিয়েছে। হাসি ফোটেছে এখানকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে। তাই এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।