২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

রূপপতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ : পুণঃনির্মাণের দাবী


উখিয়ার সমূদ্র উপকুলবর্তী জালিয়াপালং ইউনিয়নের রূপপতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে । এতে প্রাণের ঝুঁিক নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে সাড়ে চার শতাধিক নিরীহ অবুঝ শিশু। সংস্কারের দাবীতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্কুলের পরিচালনা কমিটি। স্থানীয়দের মতে অতিশীঘ্রই সংস্কার করা না হলে বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে অবুঝ শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নির্মিত তিন তলা পাকা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পিলার বা কলামের সব ক’টিতে ফাটল ধরেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে ছাদ বীমসহ অনেকাংশে। অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উখিয়া উপজেলা প্রকৌশল অফিস ২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরিত্যক্ত ভবনেই সাড়ে চার শতাধিক অবুঝ শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রীতিমত লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে চরম আতংকে রয়েছে অভিভাবকরা। এদিকে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ছাদ ও বীম খসে পড়ে আমাদের তিন সহযোগি গুরুতর আহত হয়েছিল। সচেতন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শত শত শিশু তাদের স্বভাব জাত দুষ্ঠামির ছলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছুটাছুটি, খেলাধুলা করে। সিড়ি, পিলার, ছাদ, বীম, দেওয়ালে ফাটল ধরায় স্বার্বক্ষনিক আতংকে থাকতে হয়।
রূপপতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল হক বলেন, বিদ্যালয় কাম আশ্রয় কেন্দ্রের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও ভবনের জানালার দুরাবস্থা হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পাঠদান করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। এদিকে বিদ্যালয় ভবনের এই দূরাবস্থার কথা কয়েক বছর ধরে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী এবং শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ মে ভবনের অবস্থা উখিয়া এলজিইডির প্রকৌশলীরা সরেজমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপজেলা প্রকৌশলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কাম বিদ্যালয়ের ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণার জন্য পত্র দিয়েছিলেন। তৎপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কাম বিদ্যালয় ভবন দুটি ব্যবহার অনুপযোগী বা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চিঠি দেন। এসময় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে জরুরী ভিত্তিতে ভবন পূণঃনির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। পিইডিপি-৩ এর আওতায় তৎকালীণ সময়ে দশটির মত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন সম্প্রসারণ, পূণঃনির্মাণের অনুমোদন গেলেও রূপপতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূণঃনির্মাণের অনুমোদন এখনো পাওয়া যায় নি।
রূপপতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমদ ও জহুর আলম জানান, বিদ্যালয়ের দুরাবস্থার কথা এবং ঝুঁকিতে পাঠদানের চিত্র তুলে ধরে পূণঃনির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যেকোন সময়ে ধ্বসে বিলীন হতে পারে। পাঠদানের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাধ্য হয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় নির্মিত ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপকুলের মানুষের জন্য। দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেওয়ার স্থান এবং শিক্ষা প্রদানের ভবনটির দুরাবস্থা উপকুলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীব শীঘ্রই ভবনটি পূর্ণ:নির্মাণে অনুমোদনের দাবী জানান উপকুলের সচেতন মহল এবং অভিভাবকরা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।