সীমান্ত জনপদ টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অজুহাতে শাক-সবজি বিক্রেতা চক্র পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে গলাকাটা বাণিজ্য শুরু করায় সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিম্বাস উঠছে। এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়-প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সন্ত্রাসী হামলার জেরধরে সরকারী বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের খুন,বসত-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের অভিযোগে গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আশংকাজনকহারে বেড়ে যায়। মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাদের বেশীর ভাগই টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থান নেয়। যে শীতকালে গ্রাম বাংলার প্রতিটি হাট-বাজারে শাক-সবজির দাম কমে আসে সেই সময়ে প্রত্যন্ত এলাকার হাট-বাজারে শাক-সবজির বাজারে এখন আগুন ছুটছে। টেকনাফ পৌর এলাকা,হ্নীলা, হোয়াইক্যং,ববাহারছড়াসহ বিভিন্ন স্থানীয় বাজার ঘুরে হঠাৎ করে এসব নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পণ্যের অপ্রতুল সরবরাহ ও অনুপ্রবেশকারী বিরাট রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে দায়ী করা হলেও মুলত বাজার ভিত্তিক মুনাফালোভী কিছু ব্যক্তি মিলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীনবকে দূর্বিষহ করে তুলছে।৩৫-৪০টাকার মূলা এখন দাড়িয়েছে ৫০টাকার উর্ধ্বে,শিম ৭০টাকা হতে উপরে,ঢেড়ঁশ প্রতি কেজি ৮০-৯০টাকার উপরে,কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৭০টাকা,বেগুন,করলা,বরবটি,ফুলকপি,বাঁধাকপি,গোল আলু,শসা ৫০টাকার উপরে ছাড়া মিলেনা। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দাম ৩৫-৪০টাকার ঘরেই ছিল। যেহারে স্থানীয় বাজার সমুহে সিন্ডিকেট ভিত্তিক দ্রব্যমূল্যের দাম বাজানো হচ্ছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নিলে সবচি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী মুনাফালোভীরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এই ব্যাপারে দিন মজুর,রিক্সা চালক ও শ্রমজীবি মানুষেরা টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকার কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উপজেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।