রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতন ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বৈঠকে বসবেন মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর)। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক আগামীকাল সকালে অনুষ্ঠিত হবে। তারপর তারা কক্সবাজারে যাবেন রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য।’
গত অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এখন পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং ৩০ হাজারের বেশি গৃহহারা হয়েছেন। এছাড়া নিজেদের জীবন বাঁচাতে ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়টি সমাধানের জন্য যোগাযোগ করছি। তারমধ্যে ইন্দোনেশিয়া আছে।’
মিয়ানমারসহ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য ছয়টি দেশ আসিয়ানের সদস্য এবং মিয়ানমারের ওপর ওই সদস্য দেশগুলোর প্রভাব আছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসার ইচ্ছা গত সপ্তাহের শেষ দিকে জানিয়েছেন। তিনি ঝটিকা সফরে কেন আসছেন—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে কোনও বার্তা নিয়ে আসতে পারেন রেতনো।’
রাখাইন প্রদেশের সহিংস ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার মিয়ানমারে এক বৈঠকের আয়োজন করেছেন অং সান সু চি। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাতে বাংলাদেশে আসবেন।
এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কঠোরভাষায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরনাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না এবং তারা কোনও ধরনের নাগরিক সুবিধাও ভোগ করেন না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।