১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার :

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর দিন মজুর মৃত সৈয়দ মোস্তফার ছেলে মাদক সম্রাট খ্যাত ফরিদুল আলম (প্রকাশ চিয়ক ফরিদ) (৪২) মাদকের টাকায় বালুখালীতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।

মাদক সম্রাট খ্যাত ফরিদ তার বাবার তিন পুত্রের মধ্যে একদম ছোট। তার মেজু ভাই ইয়াবা গডফাদার জাফর আলম দীর্ঘ কয়েক বছর আগে র‍্যাবের বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বড় ভাই নুরুল আলমকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করিছে বলে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয়রা।

সুত্রে জানা যায়, চিহ্নিত এই মাদক কারবারি দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার সীমান্ত থেকে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় ভাবে পাচার করছে। তিনি অনেকের কাছে মাদকের এজেন্ট (শীর্ষ ইয়ার ডিলার) নামে ভালোই পরিচিত। এই ফরিদের রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরাকারবারের জন্য ৪০/৪৫জনের ক্যাম্পের বাহিরে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। বালুখালীর স্থানীয় এক যুবক জানান, সরকারের পটপরিবর্তনের পরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফরিদসহ ফরিদ বাহিনীরা।

চিয়ক ফরিদ মাদকের টাকায় রাজত্ব কায়েম করছে বালুখালী তথা পালংখালি পুরো ইউনিয়ন। বিগত সরকারের আমলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টোর বড় ভাই গোলাম কাদেরর সাথে বাজারের ইজারাকে পুঁজি করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যান। বর্তমানে তার নিজ এলাকাস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫শতাধিক অস্ত্রধারী তার বডি গাট হিসেবে থাকেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফরিদ মোটা অংকের টাকা বাজেট করে বাজার কমিটির সভাপতি আলমগীরকে রাতের আঁধারে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে তার একটা পা চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেন ফরিদ বাহিনী। সে ঘটনায় আলমগীরের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন। উক্ত মামলা থেকে কালো টাকার জোরে অল্প সময়ে জেল থেকে বের হয়ে যান ইয়াবা সম্রাট ফরিদ।

কয়েকজন স্থানীয় তথা কথিত সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তিদের সাথে মিলে মাদক ব্যবসাকে প্রসারিত করতে বর্তমানে বিএনপি’র রাজনীতি করার জন্য ফোরকান চৌধুরী সাথে সমঝোতা করে দলীয় মিটিং মিছিলে সক্রিয় আছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

কক্সবাজারের কলাতলীতে রয়েছে ফরিদের আলিশান একটি ফ্লাট যার দায়িত্বে আছেন বালুখালীর ইব্রাহিম আজাদের বড় ভাই রকি। এছাড়াও উখিয়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ ঢাকা শহরের আনাচে-কানাচে রয়েছে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বিভিন্ন নামে-বেনামে জমিও। ইতিপূর্বে তাকে র‍্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত একাধিক সংস্থা তাকে আটকও করেছিলো। তার বিরুদ্ধে রয়েছে জিআর- ৩৯০/২০২২ইং (উখিয়া), জিআর- ২৮৪/২০১৬ইং (কক্সবাজার সদর), জিআর- ১০২০/২০২২ইং (টেকনাফ)সহ একাধিক মাদক মামলা থেকে শুরু করে হত্যা চেষ্টা মারামারি ইত্যাদি ডজন খানেক মামলা।

অভিযুক্ত ফরিদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন জানান, মাদক কারবারি বা অপরাধী যেই হউক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।