গতমাসে গণমাধ্যমকর্মীদের এক সফরে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর দেখা যায় (ছবিটি ১৪ই অক্টোবরের)
হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামে গুলিবর্ষণ করার ঘটনা স্বীকার করেছে মিয়ানমারের সরকার।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, সেনাদলের ওপর এক অতর্কিত হামলায় দুজন সৈন্য এবং ছয়জন হামলাকারী নিহত হবার পর হেলিকপ্টার ডেকে আনা হয়।
রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু গ্রাম পুড়ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিছু গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সংস্থাটি বলছে, অন্তত ৪৩০ টি ভবন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
রোহিঙ্গা আন্দোলনকর্মীরা বলছে, সরকার মুসলিম সংখ্যালঘুদের গ্রাম থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে বিবিসির জোনাহ ফিশার বলছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালানো সেনাবাহিনীর মধ্যে জনপ্রিয় একটি সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, দেশটিতে রোহিঙ্গাদের অনেকেই পছন্দ করে না এবং বার্মিজদের অনেকেই তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে।
বার্মিজ সরকার সাংবাদিকদের রাখাইন রাজ্যে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যার ফলে সংঘর্ষের মাত্রা স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব হচ্ছে না।
সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, শনিবার সেনাদলের ওপর একদল লোক আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং বল্লম নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রায় ৫০০ মানুষ সেনাদলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং সৈন্যদের সাহায্যার্থে দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা গ্রামে গুলি চালানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলছেন, নতুন প্রকাশিত ছবিতে “ব্যাপকহারে ধ্বংসযজ্ঞ” দেখা যাচ্ছে যা “পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি”।
অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার এসব সংঘর্ষকে হামলাকারীদের খোঁজে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ হিসেবে অভিহিত করছে। বিবিসি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।