মায়ানামারের রাখাইন প্রদেশে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করতে তিন দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ৩ দিনের সফরে এখন কক্সবাজারে রয়েছেন।
তারা হলেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যানে ফুগল এস্কায়ের ও নরওয়ে’র রাষ্ট্রদূত মেরেট লূনডেমো। রবিবার তারা কক্সবাজার পৌঁছান। তবে মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রদূতগণের কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
তারা ৩ দিন ধরে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফে নয়াপাড়া নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।
তারা প্রথম দিন রোববার, জেলা প্রশাসন ও ত্রান ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)’র দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক বসেন। এরপর সোমবার সকালে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির, লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির ও সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের বর্বরতার শিকার হয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার বিকালে এ প্রতিনিধি দল জাদিমোড়া রোহিঙ্গা পল্লীসহ নতুন রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালে বালুখালী ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্প ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও নতুন বস্তি পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সভাপতি ডা. দুদু মিয়া বলেন, রাষ্ট্রদূতগণ ক্যাম্পের বর্তমান অবস্থার পাশাপাশি মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সময়ের বর্বরতার কথা ধৈর্য্য সহকারে শুনেন।
নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবাইর জানান, সময় স্বল্পতার কারণে রাষ্ট্রদূতগণ তাদের কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করেছেন। তবে ক্যাম্পের বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি কয়েকজন নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ সময় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ ও সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা কক্সবাজার অফিস প্রধান সংযুক্তা সাহানী, ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।