মিয়ানমার সরকারের করা রাখাইন রাজ্য বিষয়ক পরামর্শক কমিশনের তিন সদস্য কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসেছেন।
রোববার সকালে প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বালুখালীতে নতুন করে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেন।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মিয়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান উইন ম্রা, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ পরামর্শক ঘাশান সালামে এবং রিলিজিয়াস ফর পিস ইন মিয়ানমারের প্রতিষ্ঠাতা আই লিন। শনিবার তারা ঢাকা পৌঁছান।
তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাকী বিল্লাহ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, ইউএনএইচসিআর ও আইওএমর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা রয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিনিধি দলটি বালুখালীর নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
“সেখান থেকে তারা টেকনাফের ‘লেদা’ ও ‘শামলাপুর’ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের উদ্দেশে রওয়ানা হন।”
জেলা প্রশাসক জানান, সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওইদিন বিকালেই ঢাকায় ফিরবেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পর আসা ৬৫ হাজারসহ চার লাখের মতো রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
কয়েক দশক ধরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
রাখাইন রাজ্যের সংকটের স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজতে গত বছর এই কমিশন গঠন করে মিয়ানমার সরকার। নয় সদস্যের কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
মিয়ানমারের ছয়জন এবং তিনজন বিদেশি বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত এই কমিশন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির মাধ্যমে দেশটির সরকারের কাছে তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ জমা দেবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।