কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শিশুই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের কারণে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আর নানা জটিলতায় অপুষ্টির শিকার প্রসূতি মা। এ অবস্থায় সীমিত জনবল নিয়ে মা ও শিশু রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়ার প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল না হতেই রোহিঙ্গারা তাদের অসুস্থ শিশুদেরকে নিয়ে ছুটে আসছেন এখানে। বিশেষ করে গত দুইদিন ধরে শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা তলনামূলক বেশি।
টেকনাফ এবং উখিয়ায় প্রবল বর্ষণের মধ্যে নবজাতক শিশুদের নিয়ে রাস্তায় কিংবা পলিথিনের ছাপড়ায় বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে রোহিঙ্গা নারীদের। ফলে নানা ধরণের রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ আকারে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো সার্বক্ষণিক খোলা রেখেও এত রোগীর চাপ সামল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমার থেকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা প্রসূতি মায়েরাও আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে।
বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী গত ২৩ আগস্টের পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৪ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ লাখের বেশি শিশু রয়েছে। আর স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গর্ভবতী মহিলা রয়েছে অত্যন্ত ৭০ হাজার।
পৃথিবীর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিবার পরিজন নিয়ে হতে হয়েছে দেশান্তরি। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধ্যানে এসেও মুক্তি মিলছে না। আক্রান্ত হতে হচ্ছে প্রাণঘাতী রোগ ব্যাধিতে। রোহিঙ্গা শিশুদের জন্মই যেনো এক আজন্মের পাপ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।