কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশু পদক্ষেপ কামনা করে জাতিসংঘে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারকে অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’নিঃশর্তে বন্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের উচিৎ অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে একটি অনুসন্ধানী দল পাঠানো।
প্রধানমন্ত্রীর তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেছেন, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মিয়ানমারে সকল সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা যেতে পারে।
রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার কথা শেখ হাসিনা তার চতুর্থ প্রস্তাবে বলেছেন।
শেষ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার দিয়ে চতুর্দশ বারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন তিনি। তবে এবার তিনি এখানে এসেছেন দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে।
এরপর কয়েকদিন আগে কক্সবাজারে আশ্রয় রোহিঙ্গাদের দেখে আসার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। গেল তিন সপ্তাহে ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত যাওয়া ঠেকাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের অভ্যন্তরে সীমানা বরাবর স্থলমাইন পুঁতে রাখছে বলেও উঠে আসে শেখ হাসিনা কথায়।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে জাতিসংঘে সে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকার জন্য এর মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে নিজের অতীতের কথাও উঠে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ের কথায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।