পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিভিন্ন লেভেলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে অং সান সু চির সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। ম্যাডাম সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুটি সুরাহার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কঠোর টহলের পরও যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, মানবিক কারণে আমাদের যেটুকু করার তা করছি। খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা তাদের প্রদান করা হচ্ছে। এ ইস্যুতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মহল ছাড়াও আসিয়ানভুক্ত কয়েকটি দেশও বিষয়টি সুরাহার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অং সান সু চির সঙ্গে আলোচনায় তিনি যেসব কথা বলেছেন তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনিও চেষ্টা করছেন, তার নিজেরও সদিচ্ছা রয়েছে।
সংসদে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘আসিয়ান যে সংস্থা, মিয়ানমার যার অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র। সেখানকার কয়েকটি দেশ তারাও এই ব্যাপারটার সুরাহার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এখন আমাদের যে কর্তব্য সেটা বিভিন্ন লেভেলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মানবিক কারণে যেটা করা দরকার সেটা করছি। যারা চলে আসছে তাদের খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করা যায়, এই সম্মেলন সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।