১৩ মে, ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৪ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র

রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত কাঁটাতারে স্থানীয়রা আবদ্ধ হওয়ায় মানববন্ধন

রহমত উল্লাহ:

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত কাঁটাতারে জনগোষ্টি বাঙ্গালীদেরও আবদ্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

৯ (জানুয়ারী) শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কের জাদিমুরা এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। এই মানববন্ধনে ‘কাঁটাতারের বেড়া থেকে মুক্তি চায়’সহ বিভিন্ন পেষ্টুন হাতে নিয়ে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়দের দাবি, ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে স্থানীয়দের একটি বড় অংশ বন্দী আবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে ঢুকে পরছে। এসময় দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ তাদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি তোলেন। নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং কাঁটাতারের বেড়ার ভেতর থেকে মুক্তি চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগসহ মানববন্ধন করেন। এ মানববন্ধনে খবরে ঘটনাস্থলে পৌছেন স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয় যুবক কাজল বলেন বলেন, ৩০-৪০ টি রোহিঙ্গা পরিবারের কারণে আমরা প্রায় ১০০-১৫০ পরিবার কাঁটাতারের ঘেরার আবদ্ধ হয়ে গেছি। যার কারণে আমরা বাঙালি ও তাদের এক সাথে কাটাতারে আবদ্ধ হলে আমাদের ভাই-বোন, ছেলে/মেয়ে বা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই সরকারে কাছে বিনীত আবেদন আমাদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে ঐ ৩০-৪০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিন। আমাদের কাঁটাতারের বাইরে রাখুন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হ্নীলা ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার মোঃ আলীর বলেন, ক্যাম্প ২৬/২৭ দুইটি আমার ওয়ার্ডে অবস্থিত। যার কারণে অধিকাংশ স্থানীয়রা কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় চলে আসছে। রোহিঙ্গারা সব সময় হত্যা, গুম, মানব ও মাদক পাচার, গুলাগুলি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে থাকে। সে কারণে আমাদের স্থানিয়রাও যদি তাদের সাথে কাঁটাতারে বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কাঁটাতারের ঘেরা থেকে স্থানীয়দের বাইরে রাখা হউক।

টেকনাফ জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ এপিবিএন-১৬ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসান জানান, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য কাটার বেড়া দেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের একটি অংশ কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে ঢুকে পরছে। কাঁটাতারে ভেতর থেকে মুক্তি চেয়ে স্থানীয় লোকজন জমায়েত হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সমাধানের আশ্বস্তু করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।’

এ বিষয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ‘ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে স্থানীয়দের একটি বড় অংশ কাঁটাতারের ভেতরে ঢুকে পরছে। এতে স্থানীয়রা অনিরাপত্তা মধ্যে রয়েছে। ফলে তাঁরা এখানে মানববন্ধন করেছে। পরে আমরা এসে কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথে এগোচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘সকালে ক্যাম্পের পাশে স্থানীয়দের মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে বলে শুনেছি। এর আগে ক্যাম্পের পাশে কাঁটাতারের স্থানীয়দের সমস্যার তোলে ধরে লিখিতভাবে অবহিত করেছিল। এই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।