২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমার

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ নির্যাতনে সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এএইচ মাহমুদ আলী)।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত মিয়ানমারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী কিও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে সকাল ১১টার কিছু আগে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আর মিয়ানমারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছাড়াও দেশটির উচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা ছিলেন ওই বৈঠকে।

বৈঠক শেষে বের হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। মিয়ানমার তাদের দেশের নাগরিক অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। এজন্য দুই দেশ একটি যৌথ চুক্তি ও ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করবে।

‘চুক্তির আলোকে ওয়ার্কিং গ্রুপ যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবে। আমি এ আলোচনায় খুবই আশাবাদী।’

তিনি বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে যাবেন।

বৈঠকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টিও মিয়ানমারকে জানানো হয়েছে বলে জানান এ এইচ মাহমুদ আলী।
চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী নির্যাতন শুরু করলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ পর্যন্ত নতুন করে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখের বেশি।
এরই প্রেক্ষিতে আলোচনা করতে মিয়ানমারের মন্ত্রী কিও তিন্ত সোয়ে রোববার দিনগত রাত ১ টার দিকে বাংলাদেশে আসেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।