রোহিঙ্গাদের ভার বহনের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এই বোঝা বয়ে বেড়ানোর অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদপরবর্তী সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার সন্ত্রাস দমনের নামে যেভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করছে তা অমানবিক। এই নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছি আমরা। আমরা চারবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। যেভাবে তাদের স্রোত আসছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করছি বলেই এতো মানুষ আসতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি সেভাবেই আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তবে এই জনস্রোতের বিশাল বোঝা আমাদের বইবার ক্ষমতা নেই। নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে মাদক এবং অস্ত্র আসছে কি না সেটিও দেখার বিষয় আছে। এই বিষয়টিও বেশ উদ্বেগজনক। আমরা জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারের নাগরিকদের সেদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর সেখানে নতুন করে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
এরপর বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। জাতিসংঘের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত এই দফায় প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।