২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য ‘বোঝা’ হিসেবে রূপ নিয়েছে – বান কি মুন

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি কি মুন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি অবশেষে বাংলাদেশের জন্য অসহনীয় সংকট হতে পারে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বড় “বোঝা” হিসেবে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।

১০ জুলাই (বুধবার) বিকেল ৪ টায় ঢাকা থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০ এর হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন এবং কুতুপালং ১৭নং ক্যাম্প পরিদর্শন কলে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেছেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রোগ ব্রেন্ডে ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ স্কেফার, ত্রান সচিব শাহ কামাল, পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহিদুল হক।

জানুয়ারি ২০০৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত পরবর্তী দক্ষিণ কোরিয়ান কূটনীতিক বান কি মুন জাতিসংঘের ৮ম মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সরকারকে আরো বেশি কিছু করতে হবে। যাতে রোহিঙ্গারা ভয়হীন ভাবে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়। নানামুখী সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশী মানুষের প্রশংসা করেন মুন।
বিশ্বব্যাংকের সিইও বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশিদের উদারতা ও দুর্বল রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী উখিয়া নিউজ ডটকমকে জানান, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব উখিয়ার কুতুপালং ২০ নং ক্যাম্প ও ১৭ নং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং বাস্তুচূত রোহিঙ্গা নর-নারীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের দাবী প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। সাবেক মহা-সচিবের আগমন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সহ ক্যাম্প অভ্যন্তরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের পর থেকে উখিয়া-টেকনাফে ৩০টি ক্যাম্পে প্রায় ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। মূলত রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, আবাসন বিষয় সম্পর্কে দেখতে আসেন বাং কি মুন।

তিনি ১৭ ও ২০ নং ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করে কয়েকজন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতার সাথে কথা বলেন বলে ক্যাম্পের হেডমাঝি সিরাজুল মোস্তাফা জানিয়েছেন।

কুতুপালং আন-রেজিষ্ট্রার্ট ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মোঃ নুর জানান, রোহিঙ্গাদের দাবী দাওয়া সম্পর্কে সাবেক মহা-সচিবকে রোহিঙ্গারা অবগত করেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হেলিক্যাপ্টার যোগে ক্যাম্প ত্যাগ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।