২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কক্সবাজার শহর শাখার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবির শহর নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে লাল-সবুজের ব্যানার-ফেষ্টুন, মাথায় ও হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে শিবির কর্মীরা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
র্যালি শেষে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতা হোক ঐক্যের, বিভক্তির নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে, সতীত্ব হারাতে হয়েছে অসংখ্য মা-বোনকে। বাংলা মায়ের এই বীরদের আজীবন জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। তাই শুধু নেঁচে-গেয়ে নয় তাদের আতœত্যাগ ও আতœদানকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এখনো স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ নিতে পারেনি। অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক নিপিড়নের ধারাবাহিকতায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল রেখে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সিমাহীন দূর্নীতি, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে চুক্তি, গণমাধ্যমের উপর খড়গ, জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার জন্য প্রহসনের বিচার, নারী, শিশু, বৃদ্ধ, আলেমদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার এ দিনেও হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী বিনা দোষে কারাগারের প্রকোষ্টে পড়ে আছে। ফলে বাংলার প্রতিটি জনপদ এখন স্বজন হারাদের আর্তচিৎকার, ক্ষুদার যন্ত্রনা, রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাসের স্বীকার মজলুমের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সরকারের ধারাবাহিক জুলুমে স্বাধীনতার অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবির বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ছাত্রসমাজকে সৎ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে ধারাবাহিকভাবে গঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার ফলে মেধাবীরা এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, শুধু দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষাই নয়, সোনার বাংলাদেশ গড়তেও ছাত্রশিবির ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।