২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৯ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

লোহাগাড়ার কলাউজানে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারী রাস্তার উপর দোকান নির্মানের অভিযোগ

15239273_1871723866380395_1966031566_n
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের পূর্ব কলাউজান আদারচর আমতল এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারী রাস্তার উপর রাতের অন্ধকারে পাকা দেওয়াল দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আমতল এলাকার কৃতি সন্তান ও কলাউজান ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সমশূল ইসলামসহ এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর নিয়ে ওই এলাকার মৃত আমির বকসুর পুত্র মৌলানা ইউসুফ (৫২), মৌলানা ইউসুফের পুত্র কুতুব উদ্দিন (৩২), মোহাম্মদ তসলিম (৩৫) সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উক্ত বিবাদীগণর সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে গত ২১ নভেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় প্রভাব কাটিয়ে জোরপূর্বক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আদারচর আমতল এলাকার প্রধান যাতায়াতের সরকারী রাস্তার উপর ইটের দেওয়াল দিয়ে একটি দোকানঘর নির্মান করে। অভিযোগ সূত্রে আরো প্রকাশ, উক্ত সড়কটি এলাকার জনসাধারনের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। চরম্বা, বিবিরবিলা, নাপারটিলা সড়ক হিসেবে এটি পরিচিত। তাই সড়কটি দিয়ে এই এলাকার কচি কাচা শিশুরা স্কুলে যাওয়া আসা এবং স্থানীয় জনগন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত করে থাকে। উক্ত বিবাদীগণ সরকারী সম্পত্তির উপর দোকানঘর নির্মাণ করায় এলাকার সাধারণ জনসাধারনের যাতায়াতে চরম্ব দুর্ভোগের সীমা নাই। এ ব্যাপারে কলাউজান ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অত্র এলাকার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ সমশুল ইসলাম সওদাগর বলেন, তাদের পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এই সড়কটি বড় আকারে ছিল এবং ডেম্পার ও পিকআপ চলাচল করতে পারত। কিন্তু মৌলানা ইউসুফ এবং তার ছেলে ও সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে রাতের অন্ধকারে সরকারী জায়গায় চলাচলের রাস্তার উপর দোকান নির্মান করে। স্থানীয় এলাকাবাসী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, দোকানঘর নির্মান করার কারনে রাস্তাটি এখন ক্ষুদ্র আকার ধারন করেছে এবং ডেম্পার গাড়ী কিংবা বাড়ি করার জন্য কংক্রিট, সিমেন্ট নিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইউপির প্রাক্তন মেম্বার রফিক আহমদ বলেন, এই সড়ক দিয়ে তাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসা যাওয়া করে থাকে। ফরিদ আহমদ ও মোহাম্মদ জাফর বলেন, আমতল এলাকায় পূর্বে একটি আমগাছ ছিল। কিন্তু মৌলানা ইউসুফ আম গাছ কেটে দোকানটি দখল করেন। বিগত ৩/৪ দিন পূর্বে দোকানের পার্শ্বে সরকারী রাস্তার উপর তাদের দোকান ঘরটি আরো বৃহৎ আকারে দখল করে ইটের দেওয়াল দিয়ে নির্মান করে নেয়। এলাকার মোহাম্মদ হারেজের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, তার শশুর বাড়ীতে অবস্থান করার পর থেকে এ সড়কটি বৃহৎ আকারে দেখে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে দিন দিন সড়কটি ক্ষুদ্র আকার ধারণ করেছে। কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ ওয়াহেদ বলেন, তিনি রাস্তার উপর নিমির্ত দোকানঘর ও সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। তবে, সম্প্রতি সময়ে সড়কের উপর দোকান নিমার্ণ করেছে বলে এলাকাবাসীরা তাকে অবহিত করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কোন ধরনের মন্তব্য না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জরুরী ভিত্তিতে সরকারী রাস্তাটি জনগনের চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারণ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।