চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য বাড়ি থেকে কলেজ যাওয়ার পথে গত ২২ ডিসেম্বর সকালে তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ছাত্রী দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটানোর পর অপহরণের শিকার হয় বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। অপহৃত কলেজ ছাত্রী আকলিমা আক্তার নিশু (২০) উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পূর্ব রাজঘাটা এলাকার আবদুদ্দাইয়ানের কন্যা। এ ব্যাপারে অপহৃত কলেজ ছাত্রীর মা শাহিন আক্তার (৩৭) লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্রে এ ঘটনার জন্য অপহৃতার সাবেক স্বামী জনু মিয়া (৩৩) ও তার অপর ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। অভিযুক্তরা একই ইউনিয়নের মাইজবিলা শরনার্থী বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের পুত্র। লোহাগাড়া থানার এসআই লিটন চন্দ্র সিংহ অপহৃতাকে উদ্ধারের চেষ্টা ও ঘটনার তদন্ত করছেন বলে জানান।
জানা যায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে নিশু ও অভিযুক্ত জনু মিয়ার মধ্যে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সময় নিশুকে স্বামী কর্তৃক যৌতুকের দাবীসহ শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। ফলে নিশু বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল- ১ চট্টগ্রাম এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলা চলমান রয়েছে অপরদিকে, নিশু স্বামী জনু মিয়াকে তালাক প্রদান করেন, যা চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গত ৬ নভেম্বর কার্যকর করেন। চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান জানান, এ কলেজ ছাত্রী নিশুকে তালাক দেয়া স্বামী নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন। অন্ততঃ ১৫ দিন পূর্বে এ হুমকির কথা চেয়ারম্যানকে জানান ছাত্রী নিশু। এ ছাত্রী লেখাপড়া করে নিজেকে প্রতিষ্ঠার কথা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন বলে চেয়ারম্যান জানান।
গত ২০১৫ সনের ১২ ডিসেম্বর মোবাইলে এসএমএস করে নিশু গণধর্ষণের স্বীকার হবে মর্মে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও মোঃ শফি নামে প্রাক্তন স্বামী জনু মিয়ার অপর ভাই নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক মামলা তুলে নেয়ার দাবী জানিয়েছে নিশুর মা’র কাছে। অন্যথায় নিশুকে অপহরণ করার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে জানান ছাত্রী নিশুর মা। এ ব্যাপারেও নিশুর মা শাহিন আক্তার চলতি সনের গত ২৪ ফেব্র“য়ারী লোহাগাড়া থানায় জিডি’র জন্য দরখাস্ত করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবশেষে বাড়ি হতে কলেজ যাওয়ার পথে আকলিমা আক্তার নিশু অপহরণের শিকার হল। নিশুর মা শাহিন আক্তার তার অপহৃত কন্যাকে অবিলম্বে উদ্ধার ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত জনু মিয়া উক্ত প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বিয়ে হওয়ার পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুন্দরভাবে চলছিল। পরবর্তীতে তাদের দুজনের মধ্যে ডির্ভোস হয় এবং এঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলেও দাবি করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।