আবু সায়েম : কক্সবাজার শহরের এআরসি টাওয়ার ভবনে আকস্মিক আগুন লেগেছে বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ভাড়াটিয়ারা। আজ জুমাআর নামাজের আগে আকস্মিক আগুন লাগে। হঠাৎ আগুনের লাগায় তাড়াহুড়া করে জীবন বাচাঁনোর জন্য ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এতে আতঙ্ক ও ভয় ভীতির মধ্যে রয়েছেন ঐ ভবনের বাসিন্দরা । তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ হয় তাৎক্ষণিক। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মালিক পক্ষ কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভাড়াটিয়ারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ভাড়াটিয়ারা জানান, আকস্মিক ঐ ভবনের বাম পাশে আগুনের সূত্রপাত হয়। হঠাৎ আগুন দেখে অনেকে জীবন বাচাঁতে নামতে গিয়ে আহত ও অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করে বলেন, আগুন লাগার ঘটনা মালিক পক্ষকে অবগত করলে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এআরসি টাওয়ারের মালিক হাজী আব্দুর রহীমের ছেলে আমিনুল ইসলাম ভাড়াটিয়াদের উপর মারমুখী হয় এবং ভাড়াটিয়াদের বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
ভাড়াটিয়ারা আরো বলেন, কক্সবাজারে এনজিও আসার পরে বাসা ভাড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ৩ গুণ। কিন্তু জীবন বাচাঁর তাগিদে বাড়ির মালিকের এমন অত্যাচার সহ্য করছেন বলে জানান ভুক্তভোগিরা। কোন বিষয়ে অভিযোগ অথবা অবগত করলে দুর্বব্যবহার করে ভাড়াটিয়াদের অপমান করা হয় । অভিযোগের তীর আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। সাধারণত বাড়ির মালিকের ছেলে হওয়ায় তিনি এসব দেখাশুনা করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে অনেক অভিযোগ ভাড়াটিয়াদের।
অভিযোগ রয়েছে, পিতা-পুত্র ভাড়াটিয়াদেন মানুষ মনে করেন না। তারা ভাড়াটিয়াদের উপর চালান নানা মানসিক নির্যাতন। দফায় দফায় বাড়ানো হয় তাদের বাড়ি ভাড়া।
ভবনের এক ভাড়াটিয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, আজ ৩ দিন যাবত বাসার লাইনে কোন পানি নেই। ১৪ তলা বিশিষ্ট এ ভবনে ৩ ধরে পানি না থাকায় কষ্টে জীবন পার করছেন ভাড়াটিয়ারা । আর পানি যেগুলো পরিবেশন করা হয় সেগুলো জীবাণুযুক্ত। ফলশ্রুতিতে ঐ ভবনে ভাড়াটিয়ারা নানা ধরণের অসুস্থতা্য় ভুগছেন। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি ভাড়াটিয়ারা ।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে এআরসি টাওয়ারের মালিকপক্ষের কারো বক্তব্য তাৎক্ষিক পাওয়া যায়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।