২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

শহরে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরা তেলের দোকান : লোকসানের শিকার হচ্ছে মালিকরা

index

কক্সবাজার শহরে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরা তেলের দোকান। বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে পুরো শহরের বিভিন্ন স্পটে মোটর সাইকেল থেকে শুরু করে প্রাইভেট গাড়ীসহ দূর পাল্লার যানবাহন দাঁড়ানো অবস্থায় নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার লিটার তেল। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের কে। চোর চক্রের দল কয়েকটি স্থানে শিশুদের হাতে কন্টেইনার দিয়ে আগ থেকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। আর পূর্ব থেকে গাড়ীর চালকদের সাথে রাখা হয় যোগাযোগ। যোগাযোগনুযায়ি গাড়ী ঐস্থানে আসার সাথেসাথেই কন্টেইনার নিয়ে তারা গাড়ীর তলে ঢুকে কন্টেইনার বর্তি করে তেল নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এছাড়া বীচের গাড়ি পাকিং ও বাসা-বাড়ি থেকে এখন প্রতিনিয়ত গাড়ী থেকে তেল চুরি হচ্ছে। আর এতে অসহায় গাড়ীর মালিকরা আর্থিক ক্ষতির স¤ুখীন হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। র্দীঘদিন যাবৎ চলছে তাদের এ অভিনব চোরাই তেল ক্রয় বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা। প্রশাসনের নজর না থাকায় লোকসানের শিকার হচ্ছেন মালিকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়ির চালকরাই মূলত তেল চুরির সঙ্গে জড়িত৷ প্রতিদিন হাজার লিটার তেল চুরি করে তারা প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন।আর চোরাইকৃত ওই তেল চলে যায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে ৷এ থেকে তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে। অভিযোগ আছে একশ্রেণির অসাধূ তেল ব্যবসায়ী তারা নিজেরাই সিন্ডিকেট করে নিজস্ব তেল চোর সৃষ্টি করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। আর এসব তেলের দোকান পরিচালনা করে আসছে শহরের কয়েকজন ব্যক্তি। এজন্য তারা শহরের বিভিন্ন স্পটে দোকান খুলে বসে আছে ।
একটি সূত্রের মাধ্যমে  জানা গেছে, শহরের মধ্যে প্রায় ১৫ স্পটে এ রকম অবৈধ তেল চুরির কারবার চলে৷ তার মধ্যে বাহারছড়ার গোল চত্ত্বর , ঝাউতলা ,কলাকতী ,হিমছড়ি ,বাস টার্মিনাল , লিংকরোড় সহ আরো বেশ কিছু স্থানে তেল চুরির ওই রমরমা বাণিজ্য চলে আসছে । আর প্রশাসনের কোন নজর দারি না থাকায় তারা এ কাজ অবাধে করে যাচ্ছে বলে জানায় ঝাউতলার এক ব্যবসায়ী।গতকাল বিকালে ঝাউতলায় এক দোকানের সামনে দেখা তেল চুরির বাস্তবতা।প্রশাসনের একটি গাড়ী ঝাউতলার ঐ দোকানের সামনে আসার সাথে সাথেই কন্টেইনার নিয়ে দোকান মালিকড্রাইভারকে দিলে তিনি তের বর্তি করে ঐ কন্টেইনার দোকানে দিয়ে দিলেন।এ বিষয়ে জানতে দোকানদারের কাছে গেলে তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি৷
এদিকে শহরের পাহাড়তলী এলাকার সেলিম বাদশাহ নামের একএনজিও কর্মকর্তা জানান ,গতকাল বিকালে মোটর সাইকেল নিয়ে সী-বীচে বেড়াতে গিয়ে  উর্মির পাশে গাড়ী পাকিংয়ে রাখেন তাঁর মোটর সাইকেল। কিন্তু রাত নয়টার দিকে এসে দেখেন তাঁর গাড়ীতে তেল নেই। অথচ তিনি ঐদিন ২ লিটার অকটেন নিলেন। এসময় আশপাশের লোকজন বলেন, হঠাৎ করে এস্থান থেকে মোটর সাইকেলের তেল নিয়ে যায় চোরচক্র।
তেল চুরির ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি  কাজী মতিউল ইসলাম জানান , এ বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই ৷তিনি বিষয়টি এই প্রথম শুনছেন । তবে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ৷

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।