মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরে প্যারাবন কেটে পুড়িয়ে দিয়ে আব্দুল্লাহ নামক এক ব্যাক্তি চিংড়ি ঘের নির্মান করছে , অবশ্য আব্দুল্লাহ বলছে এ চিংড়িঘের শাপলাপুরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের। তাছড়া বেড়ীবাঁধের মাটি খাটার বাহানা দিয়ে জামায়েত নেতা নুরুল হক চেয়াম্যানের নেতৃত্বে প্যারাবন নিধন করে ৬টি চিংড়িঘের নির্মান করেছে। যা দেখলে মনে হয় এ সব রক্ষা করার কেউ নেই।
সম্প্রতি মহেশখালী শাপলাপুর ইউনিয়নের পূর্বপাশে ৩টি প্যাকেজের মাধ্যমে বেড়ীবাঁধ নির্মানের কাজ চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্তবধানে। কিন্তু টিকাদাররা স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হক ও অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নুরুল হক চেয়ারম্যান বেড়ীবাঁধে মাটি ফেলার বাহানা দিয়ে প্যারাবন কেটে ৬টি চিংড়ি প্রকল্প নির্মান করেছে। অপরদিকে এসব প্যারাবন কেটে গাছগুলো নৌকাযোগে বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী হিসেবে পাঁচার করে দিচ্ছে। এ সব নিধনযংজ্ঞ দেখলে মনে হয় বন বিভাগের কেউ নেই। এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেড়িবাঁধে মাটি দেয়ার জন্য প্যারাবন কেটে রিং বাঁধ দিয়েছি মাত্র। বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ হলে আমি নিজেই তা কেটে দেব। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শাপলাপুর উপকূলীয় বিট অফিসার ৬টি ঘের বাবদ চেয়ারম্যান থেকে দফায় দফায় ২লাখের অধিক টাকা নিয়েছে। এমনকি ছালাম নামের এক ডাক্তার জানান, তার দোকানে বসে চেয়ারম্যান থেকে বিট অফিসার কয়েক দফা টাকা নিয়েছে। অভিযুক্ত শাপলাপুর উপকূলীয় বিট অফিসারের ইব্রাহীম‘র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান থেকে কোন টাকা নেননি এবং ঘের নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে তিনি পাচ্ছেন না। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ প্রতিবেদক মামলার কপি চাইলে তার কাছে নাই বলে জবাব দেয়। এবিষয়ে উপকুলীয় বন গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গাছ যে পুড়ে দেওয়া হয়েছে তা এখনো অবহিত নয়। ১৫ দিন আগে বিরাট প্যারাবন কেটে জ্বালিয়ে দিয়েছে এখনো না জানার রহস্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন- ছুটিতে থাকার কারনে তিনি এখানে ছিলো না। আর রিংবাঁধের নামে বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হককে প্যারাবন দখলের অপচেষ্টা তারা হতে দেবেনা বলে জানান। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন- প্যারাবন পুড়া ও চিংড়ি ঘের নির্মানে উপকুলীয় ফরেস্ট রেঞ্জ জড়িত এবং এ বিষয়ে জরুরী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ আসলে যথাযত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে । টেক অফিসারের রিপোর্টের উপর তা করা হবে ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।