সাতকানিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন বলেছেন,
আমি সাতকানিয়ায় কত দিন থাকব জানিনা, তবে যে কয়েকদিনই থাকিনা কেন এ সময়ের মধ্যে পুলিশের নামে সৃষ্ট বদনাম গোছাতে চাই। শাসক নয়, প্রকৃত বন্ধু রূপে পুলিশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। গত ২৩ ডিসেম্বর একান্ত আলাপচারিতায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধী আমার কাছ থেকে কোন ধরনের ছাড় পাবেনা। তবে নিরীহ মানুষকে বিনা কারনে হয়রানী করব এমনটি যেন না হয় সে দিকেই আমার দৃষ্টি থাকবে বেশী। কেননা নীরিহ মানুষ যদি বিনা কারনে বা কারো পরোচনায় পড়ে পুলিশ দ্বারা কোন মানুষ হয়রানীর শিকার হয়ে থাকে তাহলে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভের বসবতি হয়ে অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক হচ্ছে এমস একটি জিনিষ যার কারনে শত অপরাধের জম্ম হয়। তাই আমরা মাদককে কোন অবস্থাতেই ছাড় দিবনা। মাদকের বিষয়ে কোন আপোষ নেই। তিনি বলেন, আমি সাতকানিয়ায় যোগদানের আগেই সাতকানিয়ার মানুষ সর্ম্পকে ধারনা পেয়েছি। সাতকানিয়ার মানুষকে আস্থায় ফেরাতে চাই। সাতকানিয়ার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে চাই। আমি সাতকানিয়ায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মত বিনিময় করছি। তাদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে আমি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। ডাকাত ও অস্ত্রধারীদের তালিকা তৈরী করে তাদের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন অপরাধীকে পুলিশের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বাহিন নয়, আগে ঘর ঠিক করার পক্ষে। তাই আমি আমার অফিসারদের বলে দিয়েছি অপরাধ করার জন্য পুলিশ নয়, অপরাধ রোধ করার জন্য পুলিশ। কোন ধরনের অপরাধীকে ছাড় দেওয়া যাবেনা। তিনি সাতকানিয়াবাসীর উদ্যেশে বলেন, আমি সাতকানিয়ায় যোগদানের পর আমি ও আমার অফিসারদের নাম্বার সম্বলিত লিপলেট তৈরী করে তা বিতরণ করছি। চিহ্নিত ডাকাতরা যদি তাদের কৃতকর্মে অনুতপ্ত হয়ে থানায় হাজির হয় তাহলে আমি এবং আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের তাদেরকে পুর্নবাসন করার উদ্যেগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ডাকাত থানায় হাজির হয়ে সুপথে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা আমি কামনা করছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।