১১ এপ্রিল, ২০২৫ | ২৮ চৈত্র, ১৪৩১ | ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত

শিশু জিহাদ হত্যা মামলা: ৪ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

রাজধানীর শাহজাহানপুরে নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলায় ৪ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামির ২ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া দুই জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি। এছাড়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার দিকে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা নলকূপের পাশে খেলতে খেলতে পাইপের ভেতর পড়ে শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিশুটি পড়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর রাতভর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরদিন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে।
অভিযান স্থগিত করার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবী। ওই ঘটনার পরের দিন জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল শাহজাহানপুর থানার এসআই আবু জাফর ওই দু’জনকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় (অবহেলাজনিত মৃত্যু) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। কিন্তু বাদী আরও চারজন ওই ঘটনার জন্য দায়ী বলে আদালতে নারাজি দাখিল করেন।
এরপর ৪ জুন মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্ত শেষে গত ৩১ মার্চ আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান। এরপর ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।