ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের তালিকায় সুস্বাদু ইলিশ মাছ থাকছে না। পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এবারের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আতিথ্যে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই ভবনের ফ্যামিলি কিচেনে শুধু রাষ্ট্রপতি ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের জন্য রান্না হয়। এবার এখানে রান্না হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও। তাই এক সপ্তাহ ধরে সেই রান্নাঘরে চলছে তোড়জোড়। রাষ্ট্রপতি ভবনের ছয়টি রান্নাঘরেই তুমুল ব্যস্ততা। ৩২ জন প্রধান রাঁধুনি বারবার আলোচনা করছেন নিজেদের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আগেই জেনে নেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনার পছন্দ-অপছন্দের পদ বিষয়ে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাঙালি রাষ্ট্রপতির সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সস্ত্রীক বাংলাদেশে গিয়ে নড়াইলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন প্রণব মুখার্জি। সেবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আপ্যায়ন করেছিলেন। ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘আপনি তো বাংলাদেশের জামাই। জামাইষষ্ঠীর তত্ত্বও তো তাহলে পাঠাতে হয়!’ ভারতে ফেরার পথে প্রণব মুখার্জি নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন সাংবাদিকদের। কী কী খাওয়ানো হয়েছিল—জানতে চাইলে বাংলাদেশের এই জামাই জানিয়েছিলেন, অনেক ধরনের মাছ আর পদ্মার ইলিশ ছিল।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইলিশ না খাওয়াতে পারার আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের রান্নাঘরের। কারণ, এই শেষ চৈত্রে ভালো টাটকা ইলিশ নেই। বাজারে ইলিশের মন্দা। যা আছে, তা–ও আকারে ছোট। আর না হয় ফ্রিজে রাখা বিস্বাদ মাছ। আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকছে ভেটকির পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি আর চিতল পেটির মুইঠ্যা। শেষ পাতে অবশ্যই রাজভোগ। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির পাচকদের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা সেরেছে ‘ফ্যামিলি কিচেন’। রকমারি মাছের পাশাপাশি মুর্গ দরবারি, গোশত ইয়াখনি, রাইজিনা কোফতা, আলু বুখারার মতো উত্তর ভারতের বিশেষ পদগুলোও থাকছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।