নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার আওয়ামী পরিবারে একটি বিপ্লবের নাম রাশেদুল ইসলাম। দুর্দিন, দু:সময়ে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থার সর্বশেষ ঠিকানাও তিনি। স্কুল জীবন থেকে দলের প্রতি তার আনুগত্য, বুদ্ধিমত্তা ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বগুণের কারণে তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাই আওয়ামীলীগের দু:সময়ের কথা আসলেই সামনে চলে আসে রাশেদুল ইসলামের নাম। বিরোধী দলে থাকাকালীন হরতাল, অবরোধ, মিছিল-মিটিং ও সরকারি দলের দমন পীড়নেও সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১/১১ এ জরুরী অবস্থায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য রাজপথে থেকে গণস্বাক্ষর আদায় এবং ১৫ আগস্ট কাঙ্গালী ভোজ করে সবাইকে একিভূত রাখার প্রাণান্ত চেষ্ঠা কেবল তার অরসাহসিকতা ও নেতৃত্বগুনেই সম্ভব হয়েছে। দলের অসময়ে এতকিছু করেও কখনো পোস্ট পদবীর জন্য কারো কাছে ধর্ণা দেননি। নিজে বড় পোস্ট নেননি। কিন্তু অন্যদের বড় পোস্ট পাইয়ে দিতে নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন বার বার। বড় পদবী না থাকলেও বিপদে পড়া দলীয় ছোট-বড় সব নেতা-কর্মীর হয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধেও তাকেই পেয়েছে বিপদাপন্নরা। ন্যায় এবং সত্যের পক্ষে অবিচল থেকেছেন বলেই জেলা জুড়ে একরোখা ও সাহসী বলেই পরিচিতি তার। একই পরিচিতি প্রশাসন ও কেন্দ্রেও। কক্সবাজারের পাগলা হিসেবে চিনেন বলেই স্নেহের দৃষ্টিতে রাখেন জননেত্রী শেখ হাসিনাও। তাই তিনি আওয়ামীলীগের রাশেদ হিসেবেই সমাদৃত। তিনি কক্সবাজার জেলার প্রথম গভর্ণর বাংলাদেশ সংবিধান প্রনয়ণ কমিটির সদস্য এবং সুপ্রীম কোর্টের সনামধন্য আইনজীবী ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের মেঝ ছেলে।
আওয়ামী পরিবারে জম্ম রাশেদ শৈশব-কৈশোরে বঙ্গবন্ধু মুজিবের গল্প শুনেই বড় হয়েছেন। এটিই রক্তে মিশেছিল বলেই স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দায়িত্বপালন করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের। জেলা শহরের রাজপথ দখলের মূল কারিগর হিসেবে অধিষ্ঠিত হন তিনি। একারণে স্বৈরশাসন আমলেই ছাত্র থাকাকালীনই দু’ডজন মামলার মূল আসামী হয়েছিলেন রাশেদ। বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকার আমলে রাশেদের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিল মিটিংয়ে অন্যরা যোগদিয়ে দলে তাদের অস্থীত্ব জানান দিয়েছে। তাই ছাত্র ও যুব রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাবস্থা শেষ করেই সরাসরি আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির নেতা হন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে দু’কমিটিতে বিগত প্রায় দেড় যুগ দায়িত্বপালন করে আসছেন রাশেদ।
রাশেদের শুভাকাঙ্খী কামাল উদ্দিন, কামরুল হাসানসহ আরো অনেকে বলেন, স্বাধীনতার তিনযুগ পরেও কক্সবাজারে আওয়ামীলীগের স্থায়ী কোন কার্যালয় ছিল না। দলের একটি স্থায়ী অফিস করার জায়গার জন্য ২০১০ সালে রাশেদুল ইসলামই প্রথম আবেদন করেন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ প্রধান ও বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন। নিষিদ্ধ করা হয় প্রকাশ্য রাজনীতি। জননেত্রীর বন্দি ও নিষেধাজ্ঞায় আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান সুবিধাভোগীরা। সেই কঠিন সময়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি কনক, সাধারণ সম্পাদক এম. এ মনজুর, শাহাদত হোসেন, মুহিদুল্লাহ, মনজুরসহ একঝাঁক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা প্রেমী তরুণদের নিয়ে নেত্রীর মুক্তিতে গণ-স্বাক্ষর প্রোগ্রাম চালু করে রাশেদ। ১/১১-এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনও নিষিদ্ধ ছিল। সেই জরুরী অবস্থায় জেলা প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার শাহাদত বার্ষিকী ও কাঙ্গালী ভোজ করার আবেদন করে নিজ খরছে বায়তুশ শরফ ও স্থানীয় শংকরমঠ ও হিন্দুদের উপসনালয়ে তার বদান্যতায় পৃথক দোয়ার আয়োজন করা হয়। দল ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত মহাসচিব হয়েই কক্সবাজার স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছেন তিনি। এখনকার অনেক নেতাকে তখন ডাকতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০০৮ সনের ১১ জুন বন্দিদশা থেকে মুক্তি, নির্বাচনে গিয়ে দল জয়ী হলো আর সরকার প্রধান হলেন শেখ হাসিনা। তখন থেকে-এখন, নেতার জন্য কোথাও পা ফেলা যায় না। কিন্তু দু:সময়ে করা কাজের নমুনা সরূপ দলের কোন পোস্ট কিংবা অন্যকোন সুবিধা পেতে কারো দারস্ত হয়নি রাশেদ। নিজের পরিবারের সম্পদ বিকিয়ে দলের জন্য শুধু দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।
তাদের মতে, নেত্রী এবং দলের দু:সময়ে অকুতোভয়ে কাজ করা রাশেদকে দল থেকে এবার কিছু দেয়া দরকার। যে নিজের খেয়ে দলের জন্য অর্থ ও শ্রম ব্যয় করছেন, তিনি দায়িত্ব পেলে সরকারের মুখউজ্জল করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করবেন। তাই আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দলের টিকিট রাশেদুল ইসলামকে দিতে দলের সভানেত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানান তারা। দল সাহসী ও ত্যাগী রাশেদুল ইসলামকে প্রার্থী করলে আগামীতে দলের জন্য নি:স্বার্থ কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে উঠবে বলে তাদের বিশ্বাস। তাই অসময়ে দলের জন্য নি:স্বার্থ কাজ করা কর্মীরা এ ব্যাপারে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকলাম।
পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিম, ১ নম্বরের ফিরোজ আহমদ, ২ নম্বরের আবদুল্লাহ, ৪ নম্বরের জসিম উদ্দিন, ৫ নম্বরের শাহাবুদ্দিন, ৬ নম্বরের আনিসুর রহমান, ৭ নম্বরের মুহাম্মদ ফারুক, ৮ নম্বরের ইকবাল বাহার, ৯ নম্বরের আমিনুল ইসলাম, ১০ নম্বরের মোহাম্মদ আলীসহ সচেতন ভোটারদের মতে, সম্প্রতি ঘোষিত তপশীলের পর মেয়র পদে সরকার দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠেছে। তাদের মাঝে সবকিছু বিবেচনায় নৌকার প্রার্থী হিসেবে সবার একনিষ্ট ভোট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে পারবে রাশেদুল ইসলাম। তিনি শহর এবং দলের পরীক্ষীত নেতা। পরোপকারি ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণনেতা। তাকে মনোনয়ন দিলে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে তার পক্ষে কাজ করবে। অন্য প্রার্থীরা বিশেষ এলাকায় বিশেষ সমিতি কিংবা দলের অনুকম্পার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাশেদুল ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা পুরো পৌরসভায় সমান্তরাল। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।
চলতি পরিষদের ভোট গ্রহণের প্রায় ৭ বছর পর গত ১০ জুন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আকস্মিক কক্সবাজার পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৪ জুন, মনোনয়ন পত্র বাছাই ২৬ জুন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ জুলাই ও ২৫ জুলাই ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত সেই নির্দেশনায় বলবত রয়েছে ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।