অবশেষে শেষ হয়েছে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত হবে স্বপ্নের এই সড়ক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের মাধ্যমে খুলে যাবে অপার সম্ভাবনার পর্যটনের অবারিত দুয়ার।
একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড় আর অপর পাশে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালিয়াড়ির বুকে। এই দু’য়ের বুক চিরে সু-প্রশস্ত পিচঢালা পথ।এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কোলঘেঁষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
নানা জটিলতায় ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পার হয়ে যায় দীর্ঘ সময়। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবির তত্ত্বাবধানে শেষ হয় সড়কটির নির্মাণ কাজ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কটি উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলবে পর্যটনের নতুন দুয়ার।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘বিভিন্ন ধরণের কর্মসংস্থান মূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা সবাই উপকৃত।
স্থানীয় অপর আর একজন বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভ সড়ক চালু হলে আমাদের অর্থনৈতিক চাকা আরো সচল হবে।’
এ সড়কের মাধ্যমে কক্সবাজার একটি সমৃদ্ধশালী পর্যটন শিল্প হিসেবে প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘এই ১২০ কি. মি. রাস্তাকে যদি পরিকল্পিত ভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে বিশ্বের দরবারে কক্সবাজারকে আরো সমৃদ্ধশালী একটি পর্যটন শিল্প হিসেবে প্রকাশ করতে পারবো।’
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া জানালেন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটন শিল্পের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করবে।
দীর্ঘ এ সড়কে রয়েছে ১৭টি ব্রিজ ও ১শ ৮টি কালর্ভাট। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা।
সূত্র- দৈনিক কক্সবাজার
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।