১২ মার্চ, ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১১ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক

সংকটে ধুঁকছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ

38998_thumbm_i1নানামুখী সংকটে ধুঁকছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ। শিক্ষক সংকট থেকে কর্মচারী, এমনকি আনুষঙ্গিক কাজের খরচ নিয়েও সংকট বিরাজ করছে এই কলেজে। কোনো পদেই পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নেই। অধ্যাপক পদে একজনও পদায়ন নেই। কর্মচারী পদেও মারাত্মক সংকট চলছে। এসব সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংকট উত্তরণে মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি। এতে সংকট লেগেই আছে। অন্যদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নানা সমস্যায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম এসব তথ্য জানান। কলেজ সূত্র জানায়, সৃজিত পদসহ কলেজের মোট জনবল পদ রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে শিক্ষক ৮৮টি। কর্মচারী ৩৪টি। আউটসোর্সিং খাতে ৪৫টি। কলেজের ১৫টি বিভাগে একজন করে অধ্যাপকের পদ রয়েছে। কিন্তু এর সবক’টিই শূন্য। সহযোগী অধ্যাপকের ২২টি পদ থাকলেও সেখানে আছেন ১৩ জন। সহকারী অধ্যাপকের ২৪টি পদে আছেন মাত্র ১১ জন। প্রভাষক ২৫ পদের মধ্যে ২৪ জন রয়েছেন। কলেজে একটি কিউরেটরের পদ থাকলেও তা শূন্য রয়েছে। কর্মচারীর ৩৪টি পদ থাকলেও নিয়োগ পেয়েছেন মাত্র পাঁচজন। কলেজে বিভিন্ন স্তরের আটজন রেজিস্ট্রারের দরকার থাকলেও একটি পদও সৃষ্টি করা হয়নি। আউটসোর্সিং খাতে ৪৫ পদের মধ্যে গত মে মাসে ঠিকাদারের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে সময় মতো তাদের বেতন দিতে না পারায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে কলেজের আনুষঙ্গিক কাজের খরচেও অর্থ সংকট বিরাজ করছে। সময় মতো বরাদ্দ না পাওয়া এবং অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে অর্থ সংকট সব সময় লেগেই থাকে। কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে প্রতিষ্ঠার সাত বছরেও শিক্ষক সংকট নিরসন হচ্ছে না। বিশেষ করে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধ্যাপক না থাকায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া কর্মচারী সংকটের কারণে প্রশাসনিক কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি জানান, শূন্য পদগুলোতে জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গত এক বছরে কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যাপক না থাকায় যথাযথ পাঠদান হচ্ছে না। দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে তারা পিছিয়ে রয়েছে। পড়া শেষে চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে সমস্যায় পড়তে হবে বলে দাবি করেন তারা। অন্যদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় দ্বিতীয় বর্ষ পেরুলেই শুরু হয় এই ভোগান্তি। তখন হাসপাতালের ওয়ার্ডে যেতে হয় তাদের। এ সময় এক ভবনে ক্লাস সেরে পাশের হাসপাতাল ভবনে যেতে হয়। কলেজ সূত্রমতে, চলতি ২০১৬-১৭ সেশনে ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ভর্তি ফি ছিল ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা। তা থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ২৫ হাজার ৩০০ টাকা ফি নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চলতি সেশনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে যে ভর্তি ফি নেয়া হয়েছে তা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। সরকারি খরচের বোঝা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে। অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, কলেজে অর্থ সংকট রয়েছে। মেহমান আপ্যায়নসহ কলেজের আনুষঙ্গিক খরচ মিটানোর জন্য চলতি সেশনে ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে। এই অর্থ শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই ব্যবহার করা হবে বলে দাবি করেন তিনি। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরতলির ঝিলংজা এলাকায় ৩০ দশমিক ৫৮ একর জমিতে ২০১২ সালে শুরু হয় মেডিকেল কলেজের ছয়তলার প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ। প্রকল্প ব্যয় ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ শেষের পথে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।