২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

সংবাদ প্রকাশের আগেই মানহানীর মামলা করার হুমকী দিলেন বিট অফিসার তারেক

received_1829252077333025
দৈনিক সমুদ্রকন্ঠে সংবাদ প্রকাশের আগেই মানহানি মামলার হুমকী দিলেন রামু উপজেলার চেইন্দার বিট অফিসার তারেকুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ঘর তোলার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে বক্তব্য নেয়ার জন্য মোবাইল করলে তিনি প্রতিবেদকের কোন প্রশ্ন না শুনে উল্টো মানহানি মামলা করার হুমকী দেন।
জানা যায়,বিট অফিসার তারেকুল ইসলাম চেইন্দায় যোগদান করেন চলতি বছরের আগষ্ট মাসে। যোগদানের পর থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।এরপর থেকে দূনীর্তিতে জড়িয়ে পড়েন এই বিট অফিসার।তার মূল বেতন পনের হাজার ছয়শ টাকা হলেও তিনি লিংকরোড এলাকার সিকদার মহল নামক বাড়িতে মাসে পনের হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন। তার মুল পোস্টং চেইন্দায় হলেও তিনি সপ্তাহে একদিন অফিস করেন।বাকি সময় তিনি লিংকরোডের চেকপোস্ট অফিসে থেকে গাছে গাড়ি ও মাটিটানা ডাম্পার থেকে দৈনিক চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,তারেকুল যোগদানের পর থেকে বিট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বনভুমি দখল করে প্রায় ৫০টির বেশি ঘর নির্মান করেছে ভুমিদস্যরা।প্রতিঘর থেকে দেড় থেকে দুইহাজার করে টাকা চাঁদা নিয়েছেন তিনি।যার কারনে প্রতিনিয়ত বনের জায়গা বেদখলে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে লিংকরোড বিটের উপকার ভোগিদের গাছ বেচার অভিযোগও রয়েছে
অহরহ।
তার সব দুনীর্তি চাপা রাখতে তিনি নিজেকে অধিক ক্ষমতাধর দাবি করে স্টাফদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
অফিসের এক স্টাফ নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন,মিয়া সাব(বিট অফিসার) যোগদানের পর থেকে তেমন একটা অফিস করেন না।সবসময় তিনি লিংকরোডের বাসায় থাকেন। জায়গা দখল,ঘর নির্মান বা কোন বিষয়ে তাকে জানালেও কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো চুপ থাকার তাগিদ দেন।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,বিট অফিসার অফিস না করে বিভিন্ন দুনীর্তি করলেও দেখার কেউ নেই।এখন ভরসা হলো দুদক।যদি দুনীর্তি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাহলে তার সব দুনীর্তি বেরিয়ে আসবে। এবিষয়ে জানার জন্য সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ কে ফোন করলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন যখন ঘর উঠছে তখন জানান নাই কেন? এখন কেন বলেন বলে রেগে যান।
এব্যাপারে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আলী কবিরের সাথে কথা হলে তিনি অবৈধভাবে ঘর নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করে উচ্ছেদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।