১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ


বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার সদর পিএমখালী ইউনিয়ন ভুমি অফিসে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে সেবা প্রার্থীরা। ভুমি অফিসে দায়িত্বরত সহকারি ভূমি কর্মকর্তা কহিনুর আক্তারের বিরুদ্ধে কাজে নানা অভিযোগের শেষ নেই। দাখিলা, খতিয়ান মিউটিশন রিপোর্টসহ নানা কাগজপত্রে উৎকোচ না দিলে কোন কাজ হয়না বলে জানান ভুক্তভোগিরা। ইচ্ছামতো অফিস করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না তিনি। বুধবার ১০ টার দিকে ওই ভুমি অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকের উপস্থিতি জানতে পেরে অফিস সহকারি নুরুল হুদা তাকে ফোন করলে সাড়ে ১১ টার দিকে অফিসে উপস্থিত হন কহিনূর আকতার। অথচ যে কোন সরকারী অফিসে ১০টার আগেই অফিসে আসার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে চলছে মনগড়া নিয়ম।
জানা যায়, ৬ মাসে আগে রামু উপজেলা ভুমি অফিস থেকে বদলি হয়ে কহিনুর আকতার এখানে যোগদান করেন। তিনি আসার পর থেকে কাজের চেয়ে দুর্নীতির হার বেড়েছে। টাকা না দিলে ফাইল নড়ে না।
স্থানীয় ঘাটকুলিয়া পাড়ার নজির আহাম্মদ জানান, তার জমির কয়েকটা দাখিলা কাটার জন্য গেলে তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবী করেন কহিনুর আক্তার। গত এক মাস ধরে আফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। শুধু নজির আহাম্মদ নয় এমনও অসংখ্য ভোক্তভোগী রয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম জানান, তিনি আসার পর থেকে কোন ধরণের সেবা পাচ্ছে না এলাকার মানুষ। তিনি নিয়মিত অফিস করেন না, শুনেছি টাকা না দিলে নাকি তার কাছে কোন কাজই হয় না।
খোদ ওই অফিসের এমএলএসএস নুরুল হুদা জানান, আমি কিছু জানি না। তবে কিছু লোকজনের সাথে ম্যাডামকে প্রায় সময় একান্ত আলাপ করতে দেখা যায়।
এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবা প্রার্থী জানান, ওই অফিসে কোন সেবা প্রার্থী গেলে অফিসের পিয়নকে বের করে দিয়ে কথা বলেন। সরকারী অফিসে কিসের গোপনিয় কথা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ওই ভুমি অফিস থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কহিনুর আক্তারের বাড়ি। একই সাথে তার স্বামী-ভাইসহ আরো ৩জন নিকট আত্বতীয় কক্সবাজারের বিভিন্ন সরকারী অফিসে কাজ করেন। বিশেষ করে স্থানীয় প্রভাব কাটিয়ে দাপটের সাথে চাকুরী করছেন তিনি। সহকারী ইউনিয়ন ভুমি তহশীলদার কহিনুর আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ্
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর ভুমি অফিসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভুমি) পঙ্কজ বড়–য়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।