সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যা বণ্টনের বিষয়টি যত দূর সম্ভব যথাযথভাবে বিবেচনায় রাখার কথা বলা হলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবারই প্রথম ভোটারসংখ্যার সমতা আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইসি গত ২৩ মে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় এবং প্রতিটি সংসদীয় এলাকার জন্য ভোটারসংখ্যার যথাসম্ভব সমতা বিধানকল্পে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’
সুধীসমাজও দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যার বদলে ভোটারসংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে দাবি জানিয়ে আসছে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নেতারা সম্প্রতি ইসির সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানিয়ে আসেন। ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও তাদের মেয়াদের শেষের দিকে জনসংখ্যার বদলে ভোটারসংখ্যাকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আইন সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
বর্তমান কে এম নুরুল হুদার কমিশনের রোডম্যাপে বলা হয়েছে, আগামী আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। আগামী আগস্টে এ বিষয়ে আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন, নারী ভোটার পাঁচ কোটি তিন লাখ ৩৯ হাজার ১৫ জন। বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার তিনটি আসনের ভোটার ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯০ জন। বাকি ৬১টি জেলার ২৯৭টি আসনের ভোটার ১০ কোটি আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন। সে হিসাবে প্রতিটি আসন এলাকার ভোটার হওয়া দরকার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫০৭ জনের কাছাকাছি।
ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, ভোটারসংখ্যার সমতা আনতে গেলে কয়েকটি জেলার সংসদীয় আসনসংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে। ঢাকা জেলার ২০টি আসন বেড়ে ২২টি হতে পারে। গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসন বদলে হতে পারে সাতটি। নারায়ণগঞ্জ জেলাতেও একটি আসন বাড়তে পারে। অন্যদিকে কমতে পারে পটুয়াখালী, পিরোজপুরসহ কয়েকটি জেলার আসনসংখ্যা। এ ছাড়া একই জেলার মধ্যে অনেক আসনের সীমানাও পাল্টে যেতে পারে।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা জেলার ভোটারসংখ্যা ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ জন। সে ক্ষেত্রে ভোটারসংখ্যায় সমতা আনতে গেলে ঢাকা জেলা ২২টি আসনের দাবি রাখে। ঢাকা জেলায় বর্তমানে ২০টি আসনে গড়ে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৯৮০ জন করে ভোটার রয়েছেন। গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসনের বিপরীতে ভোটারসংখ্যা ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৫২ জন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি আসনে চার লাখ ৭০ হাজার ১৩০ জন করে ভোটার রয়েছেন, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। গাজীপুরের এই ভোটারসংখ্যা এ জেলায় ৬.৯ বা প্রায় সাতটি আসনের দাবি রাখে। নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে ভোটার ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫২ জন। প্রতিটি আসনে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫০৭ জন ভোটারের সমতা আনতে গেলে এ জেলায় আরো একটি আসন বাড়াতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দুটি আসনে গড়ে ভোটার রয়েছেন চার লাখ ২১ হাজার ৫১৩ জন। তবে পটুয়াখালী জেলার চারটি আসন এলাকার মোট ভোটার ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯ জন। প্রতি আসনের গড় ভোটার দুই লাখ ৯০ হাজার ৭৭২ জন। সারা দেশের সঙ্গে সমতা বিধান করতে গেলে এ জেলায় চারটি আসন রাখা যায় না। পিরোজপুর জেলার তিন আসন এলাকার মোট ভোটার আট লাখ চার হাজার ২১ জন। অর্থাৎ গড়ে প্রতি আসনে ভোটার দুই লাখ ৬৮ হাজার। এ অবস্থায় এ জেলায় তিনটি আসন বহাল রাখাকে সমর্থন করে না। এ ছাড়া শরীয়তপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঝালকাঠি, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, মাদারীপুর, মেহেরপুর ও নড়াইল জেলার আসনগুলোর গড় ভোটার তিন লাখের কম।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ বিষয়ে গতকাল শনিবারে বলেন, জাতীয় সংসদের আসন এলাকাগুলোর ভোটারসংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবারের সীমানা পুনর্নির্ধারণে এই তারতম্য যত দূর সম্ভব কমিয়ে আনতে চায়।
এ বিষয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ তাদের কর্মসংস্থানসহ নানা কারণে বড় শহর এলাকায় চলে আসে। এ কারণে বড় শহরগুলোর জন্যসংখ্যা ও ভোটার ক্রমশ বাড়ছে। বিদ্যমান আইন অনুসারে জনসংখ্যায় সমতা এনে সংসদীয় আসন এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে গেলে বড় শহর এলাকায় আসনসংখ্যা বেড়ে যাবে। কমবে গ্রামাঞ্চলের আসন। কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে গ্রামাঞ্চলের আসন কমানো উচিত নয়। এ সম্যসার সমাধান করার জন্য সংসদের আসনসংখ্যা বাড়ানো দরকার। আবার আদমশুমারি থেকে পাওয়া তথ্যে—কোনো এলাকার জনসংখ্যার সঙ্গে ভোটারসংখ্যার সামঞ্জস্য থাকে না। এ ক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব ভোটারসংখ্যায় সমতা বিধান করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করাই উচিত। আমরা ২০০৮ সালে কম্পিউটারের সহায়তায় জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিলাম। এটি একটি ভালো পদ্ধতি। তার পরও অনেক আসনে ভোটারসংখ্যার সমতা রক্ষা হয়নি। কোনো আসনে দুই লাখ ভোটার, আবার কোনো আসনে পাঁচ লাখের ওপরে ভোটার—এ অবস্থা কাম্য হতে পারে না।
দেশের বেশি ভোটারসংখ্যার তিন আসনের মধ্যে অন্যতম গাজীপুর-২ আসন। এ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ হাসান রাসেল এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার আসনে ভোটারসংখ্যা বেশি হলেও এসব ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশকে ভোটের সময় পাওয়া যায় না। শিল্প এলাকায় অনেক বহিরাগত মানুষ অবস্থান করে। ২০০৮ সালে এসব বহিরাগত নিজ এলাকায় ভোটার না হয়ে এখানে ভোটার হয়েছিল। পরে তাদের অনেকের ঠিকানা পরিবর্তন হলেও ভোটার তালিকায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এ অবস্থায় সীমানা পুনর্নির্ধারণে ভোটারসংখ্যায় সমতা বিধান করতে হলে আগে ভোটার তালিকায় স্থানান্তরিত ভোটারদের বিষয়টি ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া বড় শহর ও শিল্প এলাকায় ছোট এলাকাতেও অনেক বেশি ভোটার থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভোটারসংখ্যায় সমতা আনতে গেলে নির্বাচনী এলাকা ছোট হয়ে আসতে পারে। এসব সমস্যা বিবেচনায় রেখেই সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
ভোটারসংখ্যায় সমতা বিধান করে সীমানা পুনর্নির্ধারণের পরিকল্পনার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এক-এগারোর পর নির্বাচন কমিশন সব পক্ষের মতামত ছাড়াই যেভাবে সীমানা বিন্যাস করে তাতে অনেক এলাকায় আসন কমে যায়। কাজী রকিব কমিশনও এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। আমরা মনে করি, শুধু জনসংখ্যা বা ভোটারসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পুনর্বিন্যাস করা ঠিক হবে না। বর্তমান ইসি সব পক্ষের মতামত নিয়ে এবার সীমানা করার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এই ইচ্ছা বা উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কমিশন ক্ষমতাসীনদের চাপে নতি স্বীকার করবে না বলেই আমরা আশা করছি। আমরা কমিশনের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছি, ভোটার তালিকাও যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে। অনেক মৃত ব্যক্তিও ভোটার তালিকায় রয়েছে। এদের বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ’
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সীমানা অনুসারে সম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশন ১৯৭২ সালের ২০ ডিসেম্বর এসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এরপর দেশের প্রথম আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন ১৯৭৬ সালের ১৯ মার্চ ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কিত দাবি, আপত্তি, পরামর্শ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আলোকে কয়েকটি জেলার আসনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করে ১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। এই সীমানা অনুসারে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৃতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর ছয় জেলায় ছয়টি আসন কমিয়ে বৃহত্তর তিন জেলায় পাঁচটি ও পার্বত্য এলাকায় একটি আসন বাড়ানো হয়। সেই সময় বড় জেলাগুলোকে ভেঙে ৬৪ জেলা করা হয়। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি আন্ত জেলা নির্বাচনী এলাকা সৃষ্টি করা হয়। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন অনুসারে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি ব্যাপকভাবে সীমানা পুনর্বিন্যাস করে। নির্বাচন কমিশন তখন এই নীতি গ্রহণ করে যে কোনো জেলার আসনসংখ্যা দুটির কম হবে না। প্রতি তিন লাখের কাছাকাছি জনসংখ্যার জন্য একটি করে আসন নির্ধারিত হয়। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩৩ জেলার ১২৫টি নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তন ঘটে। ওই সময় পার্বত্য তিনটি জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ঢাকায় ১৩টি থেকে আসন হয় ২০টি। সর্বশেষ কাজী রকিবের কমিশন ১৯টি জেলার ৫৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে। ঢাকায় দুটি নির্বাচনী এলাকার আংশিক পরিবর্তন ঘটানো হয়। ২০০৮ সালে নির্ধারিত সীমানা অপরিবর্তিত থাকে বাকি ৪৫টি জেলার ২৪৭টি আসনের ক্ষেত্রে।
ভোটারসংখ্যায় বৈষম্য : ২০১৩ সালে আগের নির্বাচন কমিশন জনসংখ্যাকে বিবেচনায় না নিয়ে জাতীয় সংসদের আসনগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাস করায় আসনগুলোর মধ্যে ভোটারসংখ্যার ব্যাপক ব্যবধান বহাল থাকে। সে সময় দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৭ জন ভোটার ছিল ঢাকা-১৯ (আমিনবাজার, তেঁতুলঝোড়া, ভাকুরতা ও কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বাদে সাভার উপজেলা) আসনে এবং সবচেয়ে কম মাত্র এক লাখ ৫২ হাজার ৮৪১ ভোটার ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে।
ছয় লাখের ওপরে ভোটার ছিল, এমন আরো দুটি আসনের মধ্যে গাজীপুর-১ আসনের (কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড) ভোটার ছিল ছয় লাখ ৯ হাজার ৬৫২ জন। আর গাজীপুর-২ আসনের (গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ থেকে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৪৩ থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) ভোটার ছিল ছয় লাখ ৭১ হাজার ৮৮৩ জন। পাঁচ লাখের ওপরে ভোটার ছিল দুটি আসনে। নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ থানা ও বন্দর থানা) আসনের ভোটার ছিল পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪২২ জন। ময়মনসিংহ-৪ (সদর উপজেলা) আসনের ভোটার ছিল পাঁচ লাখ এক হাজার ৩৪৩ জন।
চার লাখের ওপরে ভোটার ছিল দিনাজপুর-৬, রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, বগুড়া-২, বগুড়া-৭, যশোর-৩, ঢাকা-২, ঢাকা-১৮, রাজবাড়ী-২, সিলেট-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, কুমিল্লা-১০, নোয়াখালী-৪, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, ঢাকা-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৪, চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে।
অন্যদিকে ১২টি আসনে ভোটার ছিল দুই লাখের কম। সেগুলো হলো কুমিল্লা-৮, চট্টগ্রাম-৩, খুলনা-৩, শরীয়তপুর-২, রংপুর-১, যশোর-৬, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-২, পিরোজপুর-৩, জামালপুর-২, নেত্রকোনা-৫ ও নরসিংদী-৩।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ৯ বছরে সব আসন এলাকায় প্রায় সমানুপাতিকভাবে ভোটার বেড়েছে এবং আসনগুলোর ভোটারে সংখ্যাগত বৈষম্য একই অবস্থায় রয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে পুনর্বিন্যাস করা সীমানায় সর্বোচ্চ ছয় লাখ দুই হাজার ৩৮৬ জন ভোটার ছিল ঢাকা-১৯ আসনে। সর্বনিম্ন এক লাখ ৩৭ হাজার ৯১ জন ভোটার ছিল ঝালকাঠি-১ আসনে। ওই সময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২২টি আসনে ভোটার ছিল দুই লাখের কম। পাঁচ লাখের ওপরে ও ছয় লাখের নিচে ভোটার ছিল গাজীপুর-১ ও ২ আসনে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।