সব আয়োজন শেষ করেও পিছু হটল সরকার। প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সিদ্ধান্ত হয়, রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হবে না। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে কারা কর্তৃপক্ষ পিছু হটেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী দ্য রিপোর্টকে রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। তবে ফাঁসি কার্যকরের জন্য সিদ্ধান্ত আমাদের না। সিদ্ধান্ত পেলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে রাজধানী ঢাকার পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়— শুক্রবার রাত অথবা ভোর রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হতে পারে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়।
এ নির্দেশনা পাবার পরই পাল্টে যায় রাজধানী ঢাকার চিত্র। অলিগলিসহ বিভিন্ন সড়কের দোকান পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারাগার এলাকাসহ রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। লালবাগ এলাকার ডিসি মোহাম্মদ মফিজ উদ্দীন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে রাত ৭টা ৪৪ মিনিটে দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা কারাগারের জন্য রাতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
এমনকি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা কারাগারের ভেতরে প্রবেশও করেন। ঢাকা জেলার সহকারী সিভিল সার্জন আহসান হাবিব শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ৯টার দিকে কারাগার থেকে বের হন।
এরপরে রাত সোয়া ৯টার পরে সরকারের কোনো এক সংকেতের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করা হয় এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বাসায় ফিরতে শুরু করেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী রাত ৯টা ২২ মিনিটে কারাগার ত্যাগ করেন।
এদিকে আদালতের দেওয়া কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ছুটির দিনেও কারা শাখার কর্মকর্তাসহ পদস্থ ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ অপু দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, শনিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে একটি বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।