২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

সভাপতি- সম্পাদকসহ ৬ পদে আ.লীগ, ১১ পদে বিএনপি- জামায়াতের বিজয়

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী প্যানেলের মো. ইসহাক এবং সাধারণ নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের জিয়াউদ্দিন আহমদ। তবে সংখ্যাগরিষ্ট জয় পেয়েছে জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেল। তারা বিজয়ী হয়েছেন ১১ পদে এবং আওয়ামী প্যানেল জয়ী হয়েছেন ছয় পদে। মোট কাস্ট হয়েছে ৬৫২ ভোট। গতকাল শনিবার সকাল থেকে ১০ থেকে দুুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। পরে দীর্ঘ সময় ভোট গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল মতে, সভাপতি মো. ইসহাক ৩৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলর এস.এম নূরুল ইসলাম পেয়েছেন ২২৮ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জিয়াউদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩৫১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী পেয়েছেন ২৪৫ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী প্যানেলের নুরুল আমিন এবং ২৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের মোহাম্মদ জাকারিয়া। পরাজিত প্রার্থী জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ ছাদেক উল্লাহ পেয়েছেন ২৮ ভোট এবং রমিজ আহমদ পেয়েছেন ২৪৬ ভোট।
৩৫২ পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী প্যানেলের আবদুল শুক্কুর ২৩৯ ভোট পেয়েছেন।
৩১৫ ভোট পেয়েছে সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী প্যানেলের রাহামত উল্লাহ। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ এনামুল হক সিকদার পেয়েছেন ২৮৬।
৩২৬ পেয়ে পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোঃ শামিমুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী প্যানেলের মোঃ আবুল হোছন পেয়েছেন ২৭৩ ভোট।
৩২৪ ভোট পেয়ে আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের ছৈয়দ আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী প্যানেলের এ.বি.এম মহিউদ্দীন পেয়েছেন ২৭ ভোট।
৩৫৫ ভোট প্রথম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের আবুল কালাম ছিদ্দিকী, ৩৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ আবুল আলা, ৩৩৭ তৃতীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের ছৈয়দ আলম, ৩৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী প্যানেলের আমজাদ হোসেন, ৩২৫ ভোট পেয়ে পঞ্চম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের সব্বির আহমদ, ৩২৩ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম (টিপু), ৩১৬ ভোট পেয়ে সপ্তম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের এ.এইচ.এম শাহজাহান, ৩১৫ ভোট পেয়ে অষ্টম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ৩০৩ ভোট পেয়ে নবম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক খান ।
পরাজিত সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী প্যানেলের পীযুষ কান্তি চৌধুরী পেয়েছেন ২৮২ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের আবুল কাশেম-২ পেয়েছেন ২০৯ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের মাহাবুবুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের মোহাম্মদ নূরুল আজিম পেয়েছেন ২১৫ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের খাইরুল আমিন পেয়েছেন ২২৪ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের সোমেন দেব পেয়েছেন ২২৮ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের মোহাম্মদ মীরাজুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ১৭১ ভোট, আওয়ামী প্যানেলের লিপিকা পাল পেয়েছেন ২৭৩ ভোট এবং জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সমমনা প্যানেলের মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন ফারুকী পেয়েছেন ২৮৫ ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিকাল ৩টা থেকে গননা শুরু হয়েছে। শেষ হয় রাত ১০টায়। এর আগে জেলা বারের দ্বি-তলায় সকাল দশটায় ভোট গহণ শুরু হয়ে বেলা দুইটায় ভোট নেয়া শেষ হয়। আইনজীবীরা সুসৃঙ্খলভাবে ভোট প্রদান করে। ভোটগ্রহণকালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। মোট ৬৫২ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৬০৫টি। অনুপস্থিত ভোটের সংখ্যা ৪৭টি।
৭ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রবীন আইনজীবী এম. শাহজাহান। সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এডভোকেট শ্যামল কান্তি চৌধুরী। সদস্য হিসেবে ছিলেন এডভোকেট নুরুল আলম, এডভোকেট মোহাম্মদ বাকের, এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম, এডভোকেট ফরিদ আহমদ ও এডভোকেট সিরাজ উল্লাহ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।