প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, কোন ধর্মেই হিংসাত্মক আচরণের কথা বলা হয়নি। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির কথা বলা হয়েছে। এই শান্তি বিরাজ করার জন্য ধর্মের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমি যে জাতী গোষ্ঠীর হইনা কেন, অপরের ধর্মকে সম্মান করতে হবে।
সোমবার (১৬ মে) দুপুরে কক্সবাজারের রামু ইনস্টিটিউট অব মিউজিক এর হল রুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্ বাংলাদেশ (রিইব) আয়োজিত “হিংসাত্মক আচরণ প্রতিহত করার লক্ষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবদের সামাজিক রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রচলন করা ঃ গণগবেষণার প্রেক্ষিতে” শীর্ষক ডায়ালগ মিটিং এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এমপি কমল আরও বলেন,রামু ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাদপীঠ। ২০১২ সালে কিছু দুষ্কৃতিকারী এখানকার হাজার বছরের সম্প্রীতে আঘাত হেনেছে। সেই অপরাধীরা আজ সবাই পরাজিত। তারা কেউ ভাল নেই।
এছাড়াও তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানুষ হিসেবে সম্মান প্রদর্শণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিটি এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের হিংসাত্মক আচরন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
রিইব এর নির্বাহী পরিচালক -এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরে আলম মজুমদার,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম, জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শিউলী শর্মা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, রামুর সভাপতি ধনিরাম বড়–য়া, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মংহ্লাপ্রু পিন্টু,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সুনীল বড়–য়া,রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুপন বড়–য়াা শিপন, ইউপি সদস্য বিপুল বড়–য়া আব্বু, মো. ইউনুছ, রিইব এর ডকুমেন্টেশন এন্ড ট্রেনিং অফিসার মো.আরমান হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হিংসাত্মক আচরন প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবসমাজের অংশ গ্রহনে র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে ইনস্টিটিউট অব মিউজিকে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে হিংসাত্মক আচরনের প্রকৃতি নিরূপন, সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের পন্থা বের করার জন্য রিইব কর্তৃক পরিচালিত গণগবেষনা প্রকল্পের প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় বক্তারা, ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতির প্রতি সহনশীল হওয়া, সামাজিক শান্তিমূলক সহাবস্থান নিশ্চিত করা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে সামাজিক বিভিন্ন শ্রেণীর ভেদাভেদ দূর করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বক্তারা। পরে অনুষ্ঠানে হিংসাত্মক আচরন প্রতিহত করার বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক একটি নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।