কেপলার মহাকাশযান সৌরজগতের বাইরে সম্ভ্যাব্য আরো ২১৯টি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে ১০টি গ্রহ বাসযোগ্য হতে পারে।
গতকাল সোমবার নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারে বিজ্ঞানীরা আমাদের ছায়াপথে এ পর্যন্ত পাওয়া সম্ভ্যাব্য গ্রহের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তালিকা প্রকাশ করেছেন, সেখানে মোট গ্রহের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৪,০৩৪টি।
বিজ্ঞানীদের মতে, কেপলার মিশনে এ পর্যন্ত ২৩০০ এর বেশি গ্রহের অস্তিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩০টি পৃথিবী আকৃতির গ্রহ রয়েছে, যা তাদের তারকাগুলোর ‘গোল্ডিলকস জোনের’ মধ্যে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌরজগতের বাইরে নতুন আবিষ্কৃত ২১৯টি গ্রহ প্রার্থীর মধ্যে ১০টি গ্রহ প্রায় পৃথিবীর আকৃতির কাছাকাছি এবং হোস্ট তারকার বাসযোগ্য সীমার কক্ষপথে অবস্থান করছে। বাসযোগ্য অঞ্চল একটি পরিসীমা প্রতিনিধিত্ব করে, যা একটি গ্রহ পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার উপযোগী সঠিক তাপমাত্রা হতে পারে।
নতুন বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মহাকাশে বাসযোগ্য সম্ভাব্য স্থান এখন প্রায় পঞ্চাশে উন্নীত হয়েছে, যেখানে সৌরজগতের বাইরে তিরিশটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে অবস্থিত সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়েল ইনটেলিজেন্স ( এসইটিআই) ইনস্টিটিউটের কেপলার গবেষণা বিজ্ঞানী সুসান থম্পসন বলেন, এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম বাসযোগ্য গ্রহ প্রার্থীটি হচ্ছে, কে৭৭-১১। সূর্য থেকে আমরা যেমন শক্তি পাই, এটিও সেই পরিমান পায় এবং আকারে পৃথিবী থেকে সামান্য বড়।
সর্বশেষ ফলাফলে সিগন্যাস নক্ষত্রপুঞ্জে কেপলারের চূড়ান্ত পর্বের অনুসন্ধান প্রকাশ করা হয়েছে এবং মহাকাশযানটির প্রথম চার বছরের তথ্যও রয়েছে। কেপলার এখন পর্যন্ত সৌরজগতের বাইরে ৪,০৩৪টি গ্রহ আবিষ্কার করেছে, যার মধ্যে ২,৩৩৫টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নতুন এই গবেষণা মহাকশে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সৌরজগতের বাইরে বাসযোগ্য গ্রহ অনুসন্ধানের কাজে নিয়োজিত নাসার টেলিস্কোপ কেপলার। ২০০৯ সালে নাসা কেপলার টেলিস্কোপটি পাঠানোর পর থেকে এটি ব্যস্ত সময় পার করছে। ছায়াপথগুলোর মধ্যে কোথাও কোনো গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে কি না, সেই দুরূহ সন্ধানের কাজটিই করে এটি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।