বিশেষ প্রতিবেদক:
চুক্তিপত্রের বাইরে গিয়ে কক্সবাজার সাগরপাড়ের হোটেল কল্লোলের নকশা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল কল্লোল মালিক পক্ষের বাঁধাকে উপেক্ষা করে গত দুইদিন ধরে অর্ধশত শ্রমিক নিয়ে ভাড়াটিয়া এমডি ইমরান হাসান নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাগরপাড়ের হোটেল কল্লোল হোটেল মালিক পক্ষের অংশীদার হোসনে আরা আরজু বলেন, কল্লোল হোটেল ভাড়া চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিলো হোটেল মূল নকশায় কোন কিছু নির্মাণ করতে হলে মালিক পক্ষের অনুমতি নিতে হবে। মালিক পক্ষের সাথে মিটিং এ বসতে হবে। কিন্তু আজ ২ দিন পর্যন্ত মূল নকশায় তথা হোটেলে স্থাপনা ভেঙে নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত ভাড়াটিয়া ইমরান হাসান।
এব্যাপারে মালিক পক্ষের অংশীদার হোসনে আরা আরজু বলেন, গত ২ দিন যাবত হোটেলের নকশা ভাংচুর করে পরিবর্তন কাজ চালিয়ে যায়। আমি হোটেলে গিয়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে আমাদের সাথে (মালিক পক্ষ) মিটিং এ বসতে বলি। তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষ আলোচনা ব্যতিত স্থাপনা নির্মাণ কাজও বন্ধ করতে বলি। কিন্তু ভাড়াটিয়া পক্ষের ইমরান হাসান আমরা মালিক পক্ষের কোন কথা কর্ণপাত করছে না। সমানতালে স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
হোসনে আরা আরজু আরও বলেন, হোটেল ভাড়া চুক্তিেত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, হোটেল নকশায় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হলে অথবা কোন সংস্কার কাজ করতে হলে মালিক পক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তারা সেই চুক্তি পত্রের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। মালিক পক্ষের মূল স্থাপনা ভেঙ্গে নির্মাণ কাজ করে আইন ভঙ্গ করেছেন। গত ২ দিন যাবত হোটেলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও তারা এ ব্যাপারে কোন কথা কর্ণপাত করছে না।
তিনি বলেন, আমরা হোটেল অংশীদার সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এব্যাপারে হোটেল ভাড়াটিয়া এমডি ইমরান হাসানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।