গত সাত দিনে বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী ট্রলার ও নৌকা ডুবে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই।
বাগেরহটের মোরেলগঞ্জের প্রমত্তা নদী পানগুছিতে গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
পানগুছি নদীতে খেয়া পারাপারের সময় প্রবল স্রোতের কারণে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় অধিকাংশ যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ ছিল অন্তত ২০ যাত্রী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের বেলতলির লেংটার মেলায় যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়।
জানা যায়, রাজধানীর রামপুরা থেকে ২৫-৩০ জনের একটি দল ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে চাঁদপুরের বেলতলিতে সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার মেলায় যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনায় অতিরিক্ত ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
এছাড়া চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গোপ্তাছড়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের কুমিরাঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সি-ট্র্যাক রোববার রাতে গোপ্তাছড়া ঘাটে নোঙ্গর করলে যাত্রী নামানোর জন্য ছোট আকারের লাল বোট স্টিমারের কাছে যায়। যাত্রীরা স্টিমার থেকে নৌকায় নামেন। এসময় প্রচণ্ড ঢেউয়ে সি-ট্র্যাক এবং লাল বোটের সংঘর্ষে বোটটি ৪০-৪৫ জন যাত্রীসহ ডুবে যায়।
এসময় কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ যাত্রী স্রোতে ভেসে যান। পরে স্থানীয় জনগণ উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন এবং ৩০-৩৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে তিন জনের এবং সোমবার সকালে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটের কাছে একজনের মরদেহ ভেসে উঠলে মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।