ব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর সুফল যাতে সাধারণ মানুষও পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে।
দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ীদের কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “আমি এতটুকু বলব- দেশের কথা চিন্তা করেই সকলে যেন ব্যবসা-বাণিজ্য করেন।
“কে কতো বেশি লাভ করলেন, সেটা বড় কথা না। দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলেন, সেটাই বড় কথা। এই দিকে একটু তাকাতে হবে।”
বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানে নতুন বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন প্রণোদনা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “আমরা আরো কিছু প্রণোদনা দেব। সেটা আমরা এখন বলব না। আমরা চার তারিখে বাজেট দেব। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলবেন।”ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা সফল করতে ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের আরও ভালোভাবে ব্যবসা করার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয় বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
“ব্যবসা-বাণিজ্য যত বাড়বে, অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে,” বলেন তিনি।
বিদেশে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি দেশে বাজার সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
দেশের ভিতরে বিনিয়োগের তাগাদা দিয়ে প্রণোদনার কথা তুলে ধরে তা গ্রহণের জন্য বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের পার্লামেন্টে সীমান্ত বিল পাস হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যার সমাধান করেছি। এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা এবং একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা এমনভাবে যেন একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সেটা যেন নিশ্চিত হয়।“সেই সাথে সাথে আমরা প্রত্যেকেই স্বাধীন দেশ। ছোট-বড় সেটা বড় কথা নয়। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ আমাদের। সেই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসাবে সমমর্যাদা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আত্মমর্যাদাশীল হব, আত্মনির্ভরশীল হব, পরমুখাপেক্ষী হব না। এটা আমরা প্রমাণ করেছি।”
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এই সংবর্ধনা তার নয়, পুরো দেশবাসীর বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ছিটমহলবাসীকে ৬৮ বছর কষ্ট করতে হতো না বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
“আমার বিশ্বাস, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ভারত অনেক আগেই এটা রেটিফাই করত,” বলেন তিনি।
ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভার সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “৫২ হাজার ছিটমহলবাসীর দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বক্তব্য রাখেন।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের এই শীর্ষ সংগঠনের সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও মো. হেলালউদ্দিনও মঞ্চে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ, ঢাকার দুই মেয়র এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিসহ বিভিন্ন চেম্বারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।