সালাহউদ্দিনের খোঁজে নিষ্ফল অভিযান
২০১৫, মার্চ ১৯ ০৪:০৩ অপরাহ্ণ
বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চলে নিষ্ফল অভিযান চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারির চরে এ অভিযান চালানো হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত ১২টার দিকে তল্লাশি শেষ হয়েছে। প্রয়োজনে আগামীকাল শুক্রবার আবার তল্লাশি চালানো হবে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত ব্যাপক তল্লাশি চালানো হলেও তথ্যের সত্যতা মেলেনি।
ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জানান, রাত ৮টার দিকে ফুলছড়ি থানার ওসি মশিউর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজার রহমান তাকে ফোন করে জানান, খাটিয়ামারির চরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের লাশ পড়ে আছে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ ৫ শতাধিক মানুষ নিয়ে তিনি ব্রহ্মপুত্র নদের ৭ কি.মি. চরাঞ্চল ও নদের কিনারায় তল্লাশি চালিয়েও কোনো লাশের সন্ধান পাননি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেন, সালাহউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আটক করতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজছে।
‘নিখোঁজ’ হওয়ার আগে প্রায় এক মাস ধরে বিএনপি ও ২০ দলের তরফে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ পরিস্থিতিতে সালাহউদ্দিনের রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশের রাজনৈতিক মহলে। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সালে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৫ জানুয়ারিতে দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচির বিভিন্ন ঘোষণা গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে জানান সালাহউদ্দিন। তখনও তিনি গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।