২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়াও সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নির্বাচনের সময়সূচি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আরেক দফা বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। বুধবার বাসসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

ইসির এ কর্মকর্তা জানান, আগামী বছর ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের আগে সংসদ নির্বাচনের অন্যতম পাঁচটি অনুষঙ্গকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০১৮ সালের আগস্টের মধ্যে সেসব কাজ শেষ করার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ মে কমিশন সভায় এই কর্মপরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, কমিশনের লক্ষ্য সবাইকে আস্থায় নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। কোন কোন আইনে সংস্কার আনলে সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব, এ ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলের  মতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থারও মত নেওয়া হবে। তাদের মতামত নিয়ে নির্বাচনি আইনের যুগোপযোগী সংস্কার করতে চায় কমিশন। এর আগে কমিশন থেকে প্রণীত একটি কমিটি সম্ভাব্য আইনের খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছর নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় ধরে খসড়া কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার অন্তত তিন মাস আগে সব ধরনের কাজ শেষ করার রূপরেখা থাকছে রোডম্যাপে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগস্টের মধ্যে কমিশন প্রস্তাবিত আইন-বিধি সংশোধনের খসড়া প্রণয়ন করবে এবং তা নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করে সেপ্টেম্বরে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হবে। নভেম্বরে আইন-বিধি সংশোধন সম্পন্ন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং ডিসেম্বরে তা চূড়ান্ত করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে থেকে আগস্টের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো, আগামী জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনি মালামাল মুদ্রণ ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো, ভোটগ্রহণের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে সব ব্যালট বাক্স ব্যবহার উপযোগী করা, আগামী বছরের জুন থেকে কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচনি সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে সময়সূচি ঘোষণার ২০ দিন পূর্বে নির্বাচনি ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকার মুদ্রন সম্পন্ন করা, সময়সূচি ঘোষণার ১৫দিন আগে শাহবাগ, গুলিস্তান ও মতিঝিলে ফলাফল ডিজিটাল মনিটরের মাধ্যমে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্বাচন ভবনের বাইরের দেয়ালে ফলাফল প্রদর্শনের জন্য স্ক্রল স্থাপন করাসহ বাজেট প্রস্তুত ও বাজেট বরাদ্দ, আন্তঃমন্ত্রণালয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা, ইভিএম ব্যবহার উপযোগী করা, নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোডম্যাপে আরও থাকছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ও বৈঠক, প্রশিক্ষণ-ব্রিফিং, নির্বাচনি প্রচারণামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের ও বেসরকারি পর্যায়ের দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে নির্বাচনি এলাকার পরিস্থিতি প্রতিবেদন সংগ্রহ, নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন এবং আইসিটি সহায়তা সংক্রান্ত সভা করার বিষয়। সূত্র: বাসস।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।