নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু-বড়ইতলী কেন্দ্রীক ইয়াবা পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজিবি-পুলিশের কড়া নজরদারীর পরও বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে এখানকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। সুনিদিষ্ট সোর্সের তথ্যের বিত্তিতে অভিযান চালালেও লক্ষ্য উদ্দেশ্যে পৌছাতে না পারায় খোদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও হতাশ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, লক্ষ্য বস্তু ইয়াবা পাচারের সময় ব্যবসায়ীরা একাধিক হাত বদল ও নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করায় মরণব্যধি ইয়াবা রোধে অভিযানে সফলতা আনতে পারছেনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির চিহ্নিত এলাকা গুলো থেকে ইয়াবা পাচার হয়ে গেলেও রামু, কক্সবাজার চট্টগ্রাম এমনকি ঢাকায়ও আটক হয়েছে ইয়াবার একাধিক চালান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দুইজন ইউপি সদস্য ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত এমন প্রচার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছুদিন আগ থেকে। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামে একজন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত বান্দরবানের ২৯ জনের মধ্যেই রয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী বিজিবি-পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর রামু থানা পুলিশ তাকে আটকের পর সুকৌশলে ছাড়িয়ে আসে। সর্বশেষ ০৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে ইয়াবা মৌজুদের তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইছড়ি এলাকায় তার বসতবাড়িতে অভিযান চালায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই ষ্ট্যালিন বড়–য়া, এসআই আহসান, এএসআই উগ্যজাই মার্মার নেতৃত্বে পুলিশ। তবে ফলপ্রসু কিছুই পায়নি অভিযানে।
এদিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের অপর ইউপি সদস্য নুরুল আলম সম্প্রতি রেজু-বড়ইতলী এলাকার একটি সিন্ডিকেটের সাথে ৪০ হাজার টাকায় ইয়াবা ইয়াবা সংক্রান্ত বিরোধ শুরু হয়। পরবর্তী অনুসন্ধানে ইউপি সদস্য নুরুল আলম ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার বিষয়ে গোপন আলাপ চারিতার মোবাইল রেকডিংয়ের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
অপরদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু-বড়ইতলী, ফাত্রাঝিরি, জামিরতলী, মনজয়পাড়া এবং পার্শ্ববর্তী উখিয়া উপজেলার পাতাবাড়ি, কোটবাজার, মরিচ্যা এলাকার বেশ কয়েকজন ইয়াবা পাচারকারী মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে ইতিপূর্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকও হয়। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জনৈক ক্যথাই মং তংচঙ্গ্যা, বাবু তংচঙ্গ্যা, ধুমং তংচঙ্গ্যা, আলী আহামদ, জাহাঙ্গীর, করিম উল্লাহ, শাহাজাহান, লালু মিয়াসহ রেজু-বড়ইতলী কেন্দ্রীক অন্তত ২৫-৩০ ইয়াবা পাচারকারী সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় আছে বলে জানান ঘুমধুম পুলিশ ফাড়িঁর এক কর্মকর্তা।
সূত্র মতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় কর্মরত ‘ত’ ‘ম’ ‘উ’ অর্ধাক্ষরের তিন পুলিশের সাথে নাইক্ষ্যংছড়ির ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক। যার কারনে পুলিশের অভিযান ব্যর্থ হয় বলে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার ধারনা। উল্লেখ্য সম্প্রতি এ ঘটনায় পুলিশের এক এসআইকে বদলি করেছে পুলিশের উর্দ্ধতন প্রশাসন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।