নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনাই ছড়ির চিন্থিত সন্ত্রাসী আনচার উল্লাহ বাহিনী কর্তৃক আবারও হামলা এবং ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে জসিম উদ্দীন নামের এক যুবক। এসময় ১,২০,০০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার শিকার জসিম উদ্দীন স্থানীয় পশ্চিম সোনাইছড়ি এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী।
জসিম উদ্দীন জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রাত ১২ ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার একটি বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী আনছার উল্লাহ ও তার বাহিনীর সদস্যরা একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা কালে জসিম উদ্দিন সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই মহিলাকে সন্ত্রাসী আনসার উল্লাহর হাত থেকে রক্ষা করে। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার বিকাল ৫ টারদিকে সোনাইছড়ি গ্রামের আনচার উল্লাহর সন্ত্রাসী ঘাটি বাদামতলী নামক স্থানে জসিমের উপর হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জসিম উদ্দিন সোনাইছড়ি মাঠ থেকে খেলা দেখে ফেরার সময় সানা-আনচার বাহিনীর প্রধান আনচার উল্লাহ ও মুসলিম উদ্দিন তার চালিত বাইক থামিয়ে কেন তাদের ওই রাতে ধর্ষণ করতে বাধা দিয়েছে এই কথা বলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। ওই সময় সানা-আনচার বাহিনীর প্রধান ইদ্ধত দাতা সানা উল্লাহ দাড়িতে থেকে তাদের আক্রমণ করতে বলে। সে দোকানে দাড়িতে থেকে বলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেল, থানা কোর্ট আমি দেখব। তার কথা মত আনচার উল্লাহ জসিম উদ্দিনকে মারতে থাকে এবং তার পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। পরে জসিম উদ্দিন এর আত্নীয় স্বজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাদামতলি এলাকার সন্ত্রাসী সানা উল্লাহর লালিত বাহিনির প্রধান আনচার উল্লাহ ইয়াবাখোর, মানবপাচারকারী, ছাত্রদলের সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি।
উল্লেখ্য এই ঘটনার আগে আনছার উল্লাহ সোনাইছড়ি এলাকার প্রবীণ আওয়ামী নেতা সোলতান সওদাগরকে হত্যা চেষ্টা করে ১ মাস জেল কেটে বের হয়। সে একই এলাকার নুর মোহাম্মদের পুত্র নুর আলম এবং একই এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে মাহমুদুল হক কে গুম করে হত্যা চেষ্টা করেছিল। এবং গত মার্চে সানাউল্লাহর সন্ত্রাসী বাহিনী সোনাইছড়ি এলাকাবাসীর উপর হামলা চালান। সাম্প্রতিক সময়ে আনছার উল্লাহর বিরুদ্ধে বাদামতলী এলাকার ইউনুস নামে একজনকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী আরো জানায়, আনচার উল্লাহর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার ভাই সানা উল্লাহ কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত থাকলেও অফিস ফাকি দিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে অর্থের সহযোগিতা করে আর আনচার উল্লাহ ইয়াবা সেবন করে প্রতিনিয়ত তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য আনছার উল্লাহ নিজের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দল থেকে বহিস্কার হন।
এলাকাবাসী এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা আর সানাউল্লাহ বাহিনীর সন্ত্রাস কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।