বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই মিলে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ালে দেশ সত্যিই সোনার বাংলা হবে। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা-বিদ্রোহ সৃষ্টি করবেন না। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। মানুষের কল্যাণে আগামীতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের নেতারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রসাশন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরার জন্য শেখ হাসিনার অতীব প্রয়োজন ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে দেশবাসীকে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহম্মেদ শেখ হাসিনার দেশে ফেরার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বার্থ ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারে না।
বিএনপির সহায়ক সরকার প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, কোনো অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে।
নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা পালাবে কোথায়? এতিমের টাকা মেরে খাও, ছেলেরা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে। আমেরিকার ফেডারেল কোর্টে সাজা হয়েছে। এবার তোমারও বিচার হবে। কোনো ছাড় পাবা না। দুর্নীতিবাজদের বিচার করেই আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করব।
আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। জঙ্গি ও বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলিটিক্যাল ল্যাগাসির মৃত্যু নেই। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ল্যাগাসি, যা বেঁচে থাকবে চিরদিন।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে এক প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, এ দেশ থেকে জঙ্গি এখনো নির্মূল হয়নি। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হলে, খণ্ড খণ্ড ভাবে প্রতিবাদ করলে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে এক মঞ্চে দাঁড়াতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিরোধীদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনার কিছু হলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ষড়যন্তকারীরা বসে নেই। এদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, প্রবীণ শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, ডা. নুজহাত চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।