সৌদি সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় কোন ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়াই স্বেচ্ছায় সৌদি আরব ত্যাগের জন্য কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। যেকোন ধরনের মামলার ওয়ানটেড আসামিরা এই ক্ষমার আওতামুক্ত থাকবেন। জানা যায়, তিন ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আলাদা আলাদা ধাপ অনুসরণ করে তাদেরকে দেশে ফিরতে হবে।
দূতাবাসের আইন সহয়তাকারী ফায়সাল আহমেদ জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে যা জানতে পেরেছে তাতে বলা হয়েছে, প্রথমত যারা সৌদি কাজের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব আসার পর ইকামা (রেসিডেন্ট পারমিট) এর মেয়াদ শেষ হয়ে, যাওয়ার পর আর নবায়ন করা হয়নি, নিয়োগকর্তা পলাতক দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, কাজের ভিসায় এসে কোন কারণে সকল কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছেন, ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করেছে, তাছরিহ (অনুমতি পত্র) ছাড়া হজ করতে গিয়ে মামলা হওয়ায় ইকামা নবায়ন হচ্ছে না, কারো ডিপেন্টডেন্ট হিসাবে থাকার পর এখন অবৈধ অথবা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলা হয়েছে, যেসব অভিবাসীরা মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট না থাকলে দূতাবাস থেকে আউটপাস (বিশেষ ট্রাভেল পাস) সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিস, সফরজে অথবা ডিপোটেশন সেন্টারে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করার পর বিমান টিকেট কিনে দেশে ফেরত যেতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত যারা হজ, উমরাহ, ট্রানজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন এবং ইমিগ্রেশন বা পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আছে, তবে বর্তমানে কোন কাগজপত্র সঙ্গে নেই এমন প্রবাসীরাও দূতাবাস থেকে আউটপাস সংগ্রহ করে সেটা নিয়ে নিকটস্থ তারহিল, সফরজেল অথবা ডিপোটেশন সেন্টারে যোগাযোগ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ট্রাভেল রেকর্ড/ বর্ডার নাম্বার সংগ্রহ করে, সেটা নিয়ে টিকেট করে দেশে ফিরতে পারবেন।
তৃতীয়ত হজ, উমরাহ অথবা ট্রানজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন এবং সকল প্রমাণাদি (ভিসা নাম্বার, বর্ডার নাম্বার, ভিসার কপি) সঙ্গে আছে এমন প্রবাসীরা বিমান টিকেট নিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরে গিয়ে সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে পারবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।